Make our mind vaster than space

Make our mind vaster than space
Milky Way Galaxy

Wednesday, June 27, 2012

টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন

টানা বর্ষণে গতকাল চট্টগ্রাম মহানগরের বেশির ভাগ এলাকা ডুবে যায়। বাদুড়তলা থেকে ছবিটি তুলেছেন রাশেদ মাহমুদ


রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম শহরের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। গতকাল সকাল থেকে চট্টগ্রামে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে পণ্য ওঠানামা ছিল বন্ধ। বিকেলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। সর্বশেষ গত রাতে ঢাকা ও সিলেটের সঙ্গে চট্টগ্রামের ট্রেন যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়। পুরো শহরই রাত ১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কার্যত ছিল বিচ্ছিন্ন। পাহাড় ধসে ও দেওয়াল চাপায় মারা গেছেন অন্তত চারজন। 

নগরের বাকুলিয়া, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গতকাল বিকেল থেকে ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর এসব এলাকা পানির সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। শহরের দুই-তৃতীয়াংশ তলিয়ে যাওয়ায় নগরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় রিকশাই ছিল একমাত্র ভরসা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে রেকর্ড ৩৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সারা দিনে নগরের প্রধান প্রধান সড়ক, উপসড়ক, অলিগলি ডুবে বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ে। নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চান্দগাঁও, খতিবেরহাট, বাকলিয়া, চাক্তাই, আছদগঞ্জ, আগ্রাবাদ, ট্রাঙ্ক রোড, সিডিএ আবাসিক এলাকা, মোগলটুলী, হালিশহর, এক্সেস রোড, ডিসি রোড, ষোলশহর, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, নালাপাড়া, মুরাদপুর, প্রবর্তক, কাপাসগোলা, বাদুড়তলাসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে।
চকবাজারের নাসির কলোনিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি বাসায় হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে আছে বাসিন্দারা। এই বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকা খ্যাত নগরের আসকার দীঘিরপাড়, জামালখান, লালখান বাজারেও পানি উঠেছে। জামালখানের বাসিন্দা সৌমেন দত্ত জানান, ভারী বর্ষণের কারণে নালা ডুবে গিয়ে তাঁদের বাসায় পানি ঢোকে। এতে বাসার আসবাব নষ্ট হয়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবার থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। গতকাল ভোর ছয়টা থেকে টানা বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠতে শুরু করে।
চট্টগ্রাম বন্দর: চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ জানান, বৃষ্টির কারণে বহির্ণোঙরে ১৩টি জাহাজ থেকে মালামাল খালাস হয়নি। বহির্ণোঙর থেকে বন্দর জেটিতে গতকাল আটটি জাহাজ ভেড়ার কথা ছিল, কিন্তু ভিড়েছে মাত্র চারটি। একটি জাহাজ বন্দর জেটি ছেড়ে গেছে। কনটেইনার জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানামা হয়েছে।
বিমানবন্দর: শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক স্কোয়াড্রন লিডার রবিউল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রানওয়েতে পানি উঠে যাওয়ায় বিকেল সাড়ে চারটা থেকে বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় রানওয়ের বাতি থেকে পর্যাপ্ত আলো পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর পানি নেমে গেলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। তাতেও স্বাভাবিক হয়ে আসতে অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা তো লাগবেই।’
রেল: রেলওয়ে সূত্র জানায়, গতকাল বিকেল থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ও ভাটিয়ারী এলাকায় রেললাইন তলিয়ে যায়। ফলে কুমিরা ও ভাটিয়ারীর মাঝামাঝি জায়গায় ৩৪ নম্বর সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গতকাল সন্ধ্যার পর ঢাকাগামী তূর্ণা ও ঢাকা মেইল ও সিলেটগামী উদয়নের যাত্রা বাতিল করা হয়। একইভাবে ঢাকা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো চট্টগ্রাম স্টেশনে ভিড়তে পারেনি। 
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান হায়দার বলেন, ‘বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ও ভাটিয়ারি স্টেশনের মাঝামাঝি ৩৪ নম্বর রেল সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমরা সন্ধ্যার পর সব ধরনের ট্রেন চলাচল বাতিল করেছি।’
বিদ্যুৎ: পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী রইসউদ্দিন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রবল বর্ষণে সাব-স্টেশন ও বিতরণকেন্দ্রগুলোর যন্ত্রপাতি পানিতে তলিয়ে যায়। নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছি। আরও কিছু এলাকায় ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

Friday, March 2, 2012

অমীমাংসিত রহস্যঃ পিছনে কে?

১৯৬৪ সালের ২৪ মে। জিম টেম্পপেল্টন ছিলেন উত্তর ইংল্যান্ডের একজন দমকল কর্মী। তার মেয়েকে নিয়ে সলওয়ে ফিরথের তৃণভূমিতে যান কিছু ছবি তুলতে। সলওয়ে ফিরথ ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যকার একটি জলাভূমি। সেদিন কিছুই ঘটে নাই। যদিও তিনি ও তার স্ত্রী সেখানে অস্বাভাবিক পরিবেশ লক্ষ্য করলেন। বাতাসে ছিল এক অস্বাভাবিকতা। ঠিক যেমন ঝড়ের পূর্বে। কিন্তু আকাশ ছিল মেঘমুক্ত পরিষ্কার। এমনকি কাছের গরুগুলোকেও দুর্বল লাগছিল।

কিছুদিন পর ছবি প্রসেস করে সংগ্রহ করার সময় স্টুডিও মালিক বলল টেম্পপেল্টনের মেয়ে এলিজাবেথের হাতে ফুল ধরা অবস্থায় একটা সুন্দর ছবি এসেছিল। কিন্তু এক বেরসিক লোক পিছন দিক থেকে হেটে এসে নষ্ট করে দিয়েছে। জিম টেম্পপেল্টন বিস্মিত হলেন। ছবি তোলার সময় ওখানে ধারেকাছে কাউকে তিনি দেখেন নি।




কিন্তু সেই ফটোটি দেখে তিনি অবাক এবং হতভম্ব হয়ে গেলেন। সেই ছবিটিতে দেখা গেল একটি রুপালী সাদা জামা- ঠিক নভোচারীদের স্পেস স্যুট পরিহিত এক লোক মেয়েটির মাথার পিছনে ভূমির সাথে কোণ তৈরি করে বাতাসে ভেসে আছে।

ঘটনাটি পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা হল। বিখ্যাত ফিল্ম প্রস্তুতকারী কোডাক কোম্পানি ঘটনাটি তদন্ত করে এবং ব্যর্থ হয়। তারা ঘোষণা দেয় এই রহস্যের সমাধানকারীকে তারা আজীবন ফ্রি ফিল্ম সরবরাহ করা হবে।


এর কয়েক সপ্তাহ পর জিম টেম্পপেল্টনের বাসায় দুইজন রহস্যময় ব্যক্তি আসে। তারা জাগুয়ার গাড়িতে আসেন এবং কালো স্যুট পরা ছিল। তারা একজন আরেকজনকে সংখ্যা দিয়ে সম্বোধন করছিল। তারা জিম টেম্পপেল্টনকে ঐ জায়গাতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা সেদিনের আবহাওয়া, পাখিদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন করল। তারা তাকে স্বীকার করাতে চাপ দিল ঐ লোকটি একজন সাধারণ ব্যাক্তি। এরপর তাকে রেখে চলে গেল। দমকলকর্মীকে ৫ মাইল পায়ে হেটে বাসায় ফিরতে হল।


২০০৮ সালে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে তখন ৮৭ বছরের বৃদ্ধ জিম টেম্পপেল্টন বলেন যে এই ঘটনা আগেও ঘটেছিল। ১৯৬০ সালের ১৫ জুলাই দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার মারালিঙ্গা গ্রামের কাছে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার সময় ইওএফও এবং একইরকম রুপালী সাদা জামাওয়ালা লোক দেখা যায়। ( দেখুনঃ





)

অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সেই সময়ের কিছু গোপনীয় দলিল থেকেও তা পরিষ্কার হয়।




২০১১ সালে ব্রিটিশ সরকার জানায় এই ঘটনা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। ( সূত্রঃ http://www.newsandstar.co.uk/features/government-not-doing-enough-to-investigate-sightings-says-cumbrian-ufo-expert-1.867552?referrerPath=news/updated_city_council_agrees_airport_expansion_plan )

Friday, January 6, 2012

সুপিরিয়র হ্রদ





লেক সুপিরিয়র
 উত্তর আমেরিকার পাঁচটি বৃহত্তম লেকে গুলোর এটির উত্তরেকানাডার প্রদেশ ওন্টারিও, এবং দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য উইসকনসিন  মিশিগান। এটি আয়তনের দিক দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাদু পানির হ্রদএবং একই সাথে এটি ক্ষেত্রফলের দিক দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হ্রদ[২] প্রথম দুইটি হচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর  লেক মিশিগান-হিউরন 
ক্ষেত্রফলের দিক দিয়ে লেক সুপিরিয়র বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাদু পানির হ্রদ লেক হিউরন, সেন্ট মেরিস রিভার এবং সু লকস-এর মধ্য দিয়ে এটি শেষ হয়েছে। আয়তনের দিক দিয়ে লেক সুপিরিয়র বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদ হচ্ছেবৈকাল হ্রদ। এছাড়া কাস্পিয়ান সাগর ক্ষেত্রফল ও আয়তন উভয় দিক থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হ্রদযদিও এর পানি লবণাক্ত। ধারণা করা হয় ঐতিহাসিকভাবে কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগর হয়ে কাস্পিয়ান সাগরের উৎপত্তি 
লেক সুপিরিয়রের ক্ষেত্রফল ৩১,৮২০ বর্গ মাইল ( বর্গ কি.মি.)যা পুরো সাউথ ক্যারোলাইনার থেকেও বড়। এর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৩৫০  কি.মি. এবং প্রস্থ ১৬০  কি.মি.। এছাড়াও এর গড় গভীরতা প্রায় ৪৮২ ফুট ,এবং সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় ১,৩৩২ ফুট  লেক সুপিরিয়রের পানির পরিমাণ প্রায় ২,৯০০ ঘন মাইল (১২,১০০ ঘন কিলোমিটার)। লেক সুপিরিয়রের মোট পানি পুরো উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ভূ-খণ্ডকে ১ ফুট পানির নিচে ঢেকে দিতে পারেহ্রদটির উপকূল এলাকার দৈর্ঘ্য প্রায় ২,৭২৬ mile ( কি.মি.) (দ্বীপগুলো সহ) 

হ্রদটির গড় তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালে প্রায় ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৪০ ডিগ্রি ফারেনটাইন)। এটি গ্রেট লেকসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়, গভীর, এবং শীতলতম হ্রদ। লেক সুপিরিয়রের আয়তন গ্রেট লেকসের বাকি তিনটি হ্রদের মোট আয়তনের চেয়েও বেশি, এবং লেক ইরির প্রায় তিনগুণ।

মিসিগান, হোয়াইট ফিশ পয়েন্ট এবং গ্র্যান্ড মারাইসের মধ্যবর্তী লেক সুপিরিয়রের দক্ষিণ উপকূল "Graveyard of the Great Lakes"  নামে পরিচিত। কারণ এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি জাহাজডুবি ঘটেছে।
১৮১৮ সাল থেকে লিপিবদ্ধ নথি অনুযায়ী এখানে কমপক্ষে ২৪০ টি জাহাজডুবি ঘটেছে।

১৯৭৫ সালের ১০ নভেম্বর
SS Edmund Fitzgerald নামে একটি জাহাজডুবিতে ২৯ জন নাবিকের সবাই মারা যায়।SS Edmund Fitzgerald 

এখানকার পানি অত্যন্ত ঠাণ্ডা। এখানে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় না। ১৯১৩ সালের ৬ থেকে ১১ ডিসেম্বর এখানে প্রলয়ঙ্করী হ্যারিকেনে ২৫০ জনের বেশি লোক নিহত হয়। 
১৯১৩ সালের হ্যারিকেনের খবর সেই সময়ের সংবাদপত্রে
১৯১৮ এর নভেম্বরে এখানে ঝড়ে Inkerman এবং  Cerisoles Minesweepers নামে দুটো ফরাসি জাহাজ ৭৮ জন ক্রু নিয়ে নিখোঁজ হয়।



এদিকে  ভাসমান এক ডাকঘর আছে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে। এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত মিশিগানের বিশাল হ্রদগুলোতে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ কাজ করে। হ্রদ সুপিরিয়র, হ্রদ মিশিগান, হ্রদ হারুন ও হ্রদ এরিতে যাতায়াতকারী জলযানগুলোকে ডাকসুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করছে ভাসমান ডাকঘরটি।ভাসমান ডাকঘর ১৮৯৫ সাল থেকে এ এলাকায় ভাসমান ডাকব্যবস্থার শুরু। এখানে সপ্তাহের প্রতিদিন দিন-রাত চবি্বশ ঘণ্টাই পাওয়া যায় ডাকসুবিধা। ডাক এলে ভাসমান ডাকঘরটি ঘুরে ঘুরে তা পেঁৗছে দেয়। ডাকঘরটি পরিচালনা করছে জেডবি্লউ ওয়েস্টকট কোম্পানি।