Make our mind vaster than space

Make our mind vaster than space
Milky Way Galaxy

Friday, July 29, 2011

স্বীকৃতি: ‘আদিবাসী’ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে



আমি অনেকটা বাধ্য হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্য খণ্ডন করার প্রয়োজন বোধ করছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আইনানুগ মর্যাদা বিষয়ে গত ২৬ জুলাই তাঁর বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত তাঁর বক্তব্য এবং সাধারণভাবে গত মে মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের আদিবাসীবিষয়ক স্থায়ী ফোরামের দশম অধিবেশনের একটি প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ ধরে আমার বক্তব্য হাজির করব।

সরকারের ভ্রম

সংবাদে প্রকাশিত তথ্যমতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্যান্য প্রসঙ্গের মধ্যে বলেছেন:
১. সংবিধানে সকল সংখ্যালঘুকে সাধারণভাবে সংখ্যালঘু হিসেবে চিহ্নিত করা আছে এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমান সরকার তাদের আর শুধু ‘উপজাতি জনগোষ্ঠী’ হিসেবে নয়, ‘জাতিগত সংখ্যালঘু’ হিসেবেই চিহ্নিত করেছে।
২. পনেরো কোটি জনসংখ্যার মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষকে বিশেষ ও উন্নীত পরিচয়ের অধিকার দিতে গিয়ে বাকি ৯৮ দশমিক ২ শতাংশের অধিকার হরণ বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
৩. সুচারুরূপে নথিবদ্ধ করা ভারতীয় উপমহাদেশের এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইতিহাস পুনরায় নিশ্চিত করে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী ষোড়শ থেকে উনিশ শতকের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশের মোঙ্গল জাতিগোষ্ঠীর মধ্য থেকে এই অঞ্চলে অভিবাসিত হয়। এখানে তারা আসে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অভিবাসী হিসেবে। বংশানুক্রমে বাংলাদেশের আসল অধিবাসী বা প্রথম জাতীয় জনগোষ্ঠী হলো এখানকার জাতিগত বাঙালিরা। তারাই এখন বাংলাদেশের পনেরো কোটি জনসংখ্যার নিরানব্বই শতাংশ।
৪. তিনি জোর দিয়ে বলেন, জাতিগত বাঙালিরা এখানে ঔপনিবেশিক কায়দায় বসত করেনি, এমনকি নিজ ভূখণ্ডে কখনো তারা অ-আদিবাসী বা বিদেশি ছিলও না, হবেও না।
৫. তিনি আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, সব ঐতিহাসিক দলিলপত্র এবং ঔপনিবেশিক কালের ভারতীয় সাক্ষ্যপ্রমাণে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাসকারীদের ‘জাতিগত সংখ্যালঘু’ বা ‘নবাগত বসতকার’ হিসেবেই সরকারিভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে চাকমা রাজা এবং জাতিসংঘের আদিবাসীবিষয়ক স্থায়ী ফোরামের সদস্য হিসেবে মন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে আমার অবস্থান নিচে বর্ণিত হলো:

জাতিগত সংখ্যালঘু

মাননীয় মন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এবং ২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনী থেকে যে সূত্র টেনেছেন, তা সঠিক নয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর কোথাও ‘এথনিং মাইনরিটি’ বা বাংলা অনুবাদে ‘জাতিগত সংখ্যালঘু’ শব্দটি বলা নেই। ‘উপজাতি’ বলার পাশাপাশি এই সংশোধনীর নতুন যুক্ত হওয়া ২৩ক অনুচ্ছেদে ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ ও ‘ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ে’র কথা বলা হয়েছে মাত্র।

অধিকার ‘প্রদান’ ও ‘হরণ’

মাননীয় মন্ত্রী জাতীয় জনসংখ্যার ১ দশমিক ২ শতাংশের ‘অধিকার প্রদানকে’ বাকি ৯৮ দশমিক ২ শতাংশ জনগণের অধিকার হরণ বলে যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বেঠিক এবং ভুল বোঝার ফল। বাংলাদেশের বাদ পড়া, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত ১ দশমিক ২ শতাংশ জনগণের আত্মপরিচয়ের সাংবিধানিক স্বীকৃতি তাদের প্রান্তিক অবস্থান ঘোচানোয় একটি শক্ত মঞ্চ ও আইনি ভিত্তি জোগাবে। এর দ্বারা এই জনগোষ্ঠী বা তার অন্তর্ভুক্ত কোনো সদস্যের বিশেষ কোনো সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি হবে না। অন্যান্য দেশে, যেমন—নেপাল, ফিলিপাইন, স্ক্যান্ডিনেভীয় ও লাতিন আমেরিকার দেশে আদিবাসীদের অধিকার দিতে গিয়ে অ-আদিবাসীদের বঞ্চিত করতে হয়নি। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় যে কিছু নাগরিককে ‘আদিবাসী’ মর্যাদা দেওয়া মানেই নাগরিকদের একটি অংশ আপনাআপনি প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মর্যাদা হারিয়ে ফেলবে।

রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও অর্থনৈতিক অভিবাসী

পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগণকে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও অর্থনৈতিক অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, তা একইভাবে বাংলাদেশের বাংলাভাষী কিংবা উর্দুভাষী অন্য নাগরিকদের বেলায়ও প্রযোজ্য হতে পারে (যারা মুসলিম এবং বর্তমান ভারত বা মিয়ানমার থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন)। অভিবাসনের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ কারণ যা-ই হোক, তা কারও জাতীয় পরিচয় বা নাগরিকত্ব কিংবা নাগরিক অধিকার বা বৈষম্যের শিকার না হওয়ার অধিকারের ভিত্তি হতে পারে না। তা যদি হতো, তা হলে তা হতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে যে বৈষম্যহীনতার নীতিকে শিরোধার্য করা হয়, তার বরখেলাপ এবং পরিপন্থী। একই সঙ্গে তা হতো বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকারী বৈষম্যবিরোধী অনুচ্ছেদগুলোরও বিরুদ্ধে।

বাঙালিরা ‘ঔপনিবেশিক বসতকার’, ‘বিদেশি’ বা ‘অ-আদিবাসী’ নয়

যারা ‘আদিবাসী’ নয় মাননীয় মন্ত্রী তাদের সঙ্গে ‘ঔপনিবেশিক বসতকার’ এবং/অথবা ‘বিদেশি’ পরিচয়কে গুলিয়ে ফেলছেন। কেউ আদিবাসী না হলেই যে ঔপনিবেশিক বসতকার হবে, এটা অস্ট্রেলিয়া বা আমেরিকার বেলায় প্রযোজ্য হলেও হতে পারে, বাংলাদেশের বেলায় তা সত্য নয়। সাম্প্রতিক কালের আদিবাসী অধিকারবিষয়ক প্রগতিশীল চিন্তাধারায় যারা আদিবাসী বলে বিবেচিত হয় না, তাদের ‘ঔপনিবেশিক বসতকার’ এবং/অথবা ‘বিদেশি’ বলে ব্যাখ্যা করে না। বাঙালিরা যে বাংলাদেশের স্থানীয় (ন্যাটিভ) জনগোষ্ঠী, অন্য জাতিগোষ্ঠীর আদিবাসী পরিচয় স্বীকার করার মাধ্যমে তা কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ বা অস্বীকৃত হয় না। অ-আদিবাসী মানে ‘বসতকার’ (সেটেলারস) নয়, অন্ততপক্ষে বাংলাদেশ এবং এশিয়ার আরও কিছু দেশে তা নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগণের বেলায় ‘আদিবাসী’ পরিচয় প্রয়োজ্য, কারণ তারা ১. প্রাক-ঔপনিবেশিক ও প্রাক-বিজিত সমাজের উত্তরসূরি এবং ২. অন্যান্য অনেক কিছুর সঙ্গে তারা প্রাক-ঔপনিবেশিক ও প্রাক-বিজিত পর্যায়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অনুগামী রীতি ও প্রথার অনুসারী।


সরকার সম্ভবত ‘আদিবাসী’ প্রত্যয়টির গত শতকের গোড়ার দিকের অর্থের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে আছে। সে সময় এই শব্দের ব্যঞ্জনা কেবল আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের অবস্থাকেই বোঝাত। কিন্তু জাতিসংঘে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পরিমণ্ডলে, উন্নয়নের ধারণায়, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ায় এ বিষয়ে বোঝাপড়া অনেক দূর এগিয়েছে। আগে যাদের ‘উপজাতি’ বলে বিবেচনা করা হতো, তাদের এখন ‘আদিবাসী’ ধারণার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যে ভুল ধারণাবশত ‘উপজাতি’ ও ‘আদিবাসী’র মধ্যে বেঠিক ও কৃত্রিম পার্থক্য করা হয়, তা আজকের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চিন্তাধারার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলাদেশের যেসব নাগরিক নিজেদের ‘আদিবাসী’ বলে পরিচিত করে, তাদের ওপর ‘আদিবাসী’ ছাড়া অন্য কোনো পরিচয় চাপিয়ে দিলে সেই কাজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবাদী প্রক্রিয়া ও পন্থার বাইরে চলে যাবে।

জাতিগত সংখ্যালঘু’, ‘নবাগত বসতকার’দের ‘উপজাতি’ হিসেবে চিহ্নিতকরণ


মাননীয় মন্ত্রীর তরফে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে ‘নবাগত বসতকার’ বলা এবং তাদের ‘উপজাতীয় জনগোষ্ঠী’ বলে অভিহিত করাও সঠিক নয়।


যেমন ধরা যাক চাকমা জনগোষ্ঠীর কথা। ইতিহাসে নথিবদ্ধ আছে যে, তারা যে দেশে বাস করত তার নাম ‘চাকোমা’। পর্তুগিজ ইতিহাসবিদ ও ভূগোলবিদদের জবানি থেকে জানা যায়, তাদের এই দেশ আজকের বাংলাদেশের সীমান্তের মধ্যে কমপক্ষে ১৫৫০ সাল পর্যন্ত বাংলা আরাকান ও ত্রিপুরা থেকে আলাদা ছিল। হয়তো ওই তারিখের এক শ বছর আগেও তারা আজ যেখানে বাস করে সেখানেই বাস করে থাকতে পারে, যেমন থাকতে পারে ওই অঞ্চল এবং বাংলাদেশের অন্যত্র বসবাসকারী অন্য আদিবাসীরাও। বাঙালিরা পাবর্ত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৯ শতকের আগে স্থায়ীভাবে বাস করত বলে জানা যায় না। বাংলার কোথাও আদিবাসীরা বাঙালিদের উচ্ছেদ করে বসতি গেড়েছে বলেও কোনো প্রমাণ নেই। আদিবাসীরা যেখানে যখনই বসতি স্থাপন করা শুরু করুক না কেন, তাদের বসতি স্থাপনের সময় সেসব অঞ্চল বাঙালি-অধ্যুষিত ছিল না। বাংলাদেশের অনুস্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সনদের ১০৭ ধারা অনুযায়ী, কোনো জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী বলে পরিগণিত হতে হলে তাদের সহস্র বছর ধরে কোথাও বসবাস করার প্রয়োজন নেই—যেমনটা প্রযোজ্য আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার বেলায়। আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী, ‘উপনিবেশায়ন বা দখলাধীন হওয়ার সময়’ (যেমন আঠারো বা উনিশ শতক) সেখানে তাদের বসতি থাকা এবং প্রাক-ঔপনিবেশিক সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অনুগামী রীতি ও প্রথার অনুসারী হওয়াই ‘আদিবাসী’ বলে গণ্য হওয়ার আবশ্যকীয় শর্ত। বাংলাদেশের আদিবাসীদের অবস্থান সেই শর্তের সঙ্গে মানানসই।


১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে, ব্রিটিশ আমলের কিছু আইনে এবং পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের পরে আদিবাসী জনগণকে ‘ট্রাইবাল’ বা ‘উপজাতি’ বলে গণ্য করা হয়। তাহলেও, ‘ট্রাইবাল’, ‘ইনডিজিনাস’ (আদিবাসী) অথবা ‘অ্যাবরিজিনাল’ (প্রাচীন অধিবাসী) শব্দগুলো পরস্পরের বদলাবদলি সমার্থক ধারণা হিসেবে ব্যবহূত হওয়ার নজির রয়েছে। এমন কিছু নজিরের দিকে নজর দেওয়া যাক: যেমন ‘অ্যাবরিজিনাল’ শব্দটি ১৯৫০ সালের ইস্ট বেঙ্গল স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যাসি অ্যাক্ট-এ লিপিবদ্ধ আছে। (আইনটি বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম তফসিল দ্বারা সুরক্ষিত।)
সিএইচটি রেগুলেশন, ১৯৯০; ফাইন্যান্স অ্যাক্টস অব ১৯৯৫ অ্যান্ড ২০১০; পভার্টি রিডাকশন স্ট্র্যাটেজি (পিআরএসপি-২০০৮, ২০০৯-২০১০), সম্প্রতি চাকমা বনাম কাস্টমস কমিশনার ও অন্যদের মামলায় মহামান্য আদালতের রায়ে (5 BLC, AD, 29) ‘ইনডিজিনাস’ শব্দটি আদিবাসী অর্থে ব্যবহূত হয়েছে।


আদিবাসী দিবসে মাননীয় সরকারপ্রধান থাকাকালে শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়া এবং ড. ফখরুদ্দীন আহমদের শুভেচ্ছাবার্তায় ‘আদিবাসী’ শব্দের উল্লেখ ছিল। এ ছাড়া সরকারি দলিল পিআরএসপিতে, সরকারি আইন স্মল এথনিং গ্রুপস কারচারাল ইনস্টিটিউশন অ্যাক্ট, ২০১০-এও তো আদিবাসী ধারণার স্বীকৃতি রয়েছে।

২৭ জুলাই ২০১১
দেবাশীষ রায়: চাকমা রাজা এবং জাতিসংঘের আদিবাসীবিষয়ক স্থায়ী ফোরামের সদস্য।

Thursday, July 21, 2011

সময়ের প্রতিবিম্ব গণপিটুনি নয়, গণহত্যা

এবিএম মূসা | তারিখ: ২১-০৭-২০১১


আমিনবাজারে ছয় ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে। কীভাবে ঝরে পড়ল ছয়টি তরতাজা প্রাণ? আমার স্নেহভাজন নবীন সাংবাদিকেরা এ ধরনের মৃত্যুর খবর নানাভাবে, ভাষার বৈচিত্র্যে অথবা মারপ্যাঁচে বিভিন্ন অভিব্যক্তিতে প্রকাশ করেন। কখনো ট্রাকচাপা পড়ে, কখনো খাদে পড়ে, তথাকথিত ক্রসফায়ারের গুলিতে মরণ হয়েছে, তাঁদের এমন রিপোর্ট হরহামেশাই পড়ছি। অনেক বছর আগে রুবেলকে ল্যাম্পপোস্টে মাথা ঠুকিয়ে হত্যা করেছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। লিমন ভাগ্যবান, ‘ক্রসফায়ারের’ গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বুকে নয়, পায়ে লাগাতে বেঁচে গেছে। আমিনবাজারেও সাতজনের একজন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে, পিটুনিতে খুন হয়নি।
কিছুদিন আগে খবর পড়ছিলাম, মিরসরাইয়ে ৪৪ কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার বিবরণ। এটিকে সাংবাদিকের ভাষায় অথবা চলতি বিবরণে বলা হচ্ছে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। অথচ এটি আইনি ভাষায় অবহেলাজনিত খুনের জন্য চালককে দায়ী বলা যেত। যা হোক, এ ধরনের খবর তো হরহামেশাই পত্রিকায় দেখছি, কয়েক দিন পর ভুলে যাচ্ছি। চারজনের মৃত্যুর খবর চাপা দিচ্ছে ১০ জনের লাশ। লঞ্চডুবিতে এক বছরে ৫০ জনের ডুবে মরার খবর পরের বছরে ১০০ জনের ডুবন্ত মানুষের সঙ্গে ডুবে যায়। নৌমন্ত্রী বলেন দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ব্যস, হয়ে গেল। তারপর যেমনটি তেমন। একটি পড়ি, ভুলে যাই, কিছুদিন পর আরেকটি মরণের মিছিলের খবর পড়ে কিছুদিনের জন্য শোকাহত হই। টাইম ইজ দ্য বেস্ট হিলার, সময় সব শোক ভুলিয়ে দেয়। পুত্রশোক ভুলে যান মা, বন্ধুরা ভুলে যান সহপাঠীকে। যে পুলিশ বলে তদন্ত চলছে, ‘সেই চলা কখন থেমে গেছে, কেউ খবর রাখে না। এত সব হত্যা আর মৃত্যুর খবর পড়ছি প্রায় প্রতি দিন, আর আবৃত্তি করি সুকান্তের কবিতা—‘অবাক পৃথিবী! অবাক যে বারবার/ দেখি এ দেশে মৃত্যুরই কারবার’। মনে হয় সুকান্ত বেঁচে থাকলে ‘এ দেশে’ কথাটি সংশোধন করে ‘এই সময়ে’ লিখতেন।
মরণের মিছিলে মিরসরাইয়ের পর যোগ হলো ঢাকার কাছেই আমিনবাজারে ছয় ছাত্র-যুবক। প্রথমে কিছু পত্রিকায় খবরের মূল প্রকাশটি হচ্ছে, ‘গণপিটুনিতে’ ছয় ছাত্র নিহত। সব পত্রিকায় প্রায় একই বক্তব্য, তবে ভিন্ন ধরনের। কোনো পত্রিকার শিরোনাম, ‘ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে খুন’ বহুল প্রচারিত অন্য একটি পত্রিকার শিরোনাম ‘সন্দেহের নির্মম বলি’। সর্বসাধারণে প্রচারিত দৈনিকটির শিরোনাম ‘প্রাণ গেল ছয় ছাত্রের’। অথচ কথাটি হবে ‘প্রাণ কেড়ে নেওয়া হলো’। একটি প্রতিবেদন তো হতভাগা যুবকদের গাঁজাখোরই বানিয়ে দিল। প্রিয় সাংবাদিক কনিষ্ঠজনদের বলছি, ভুল, তোমাদের সব রিপোর্টই ভুল; বার্তা সম্পাদকদের বলছি, সব শিরোনাম বিভ্রান্তিকর। কারও গণপ্রাণ যায়নি, সন্দেহের নির্মম বলি নয় সেই ছয়জন। ছয়জনকে পরিকল্পিত অথবা অপরিকল্পিতভাবে ‘হত্যা’ করা হয়েছে।
কেন, কীভাবে, কোন অপরাধে এই কিশোরদের কারা খুন করল, তা পুলিশ সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারেনি, পারলেও সরাসরি বলছে না, অথবা করেনি, জানলেও বলবে না। যারা দলবেঁধে দা-চাপাতি, সড়কি-বল্লম নিয়ে এসে ঘেরাও করে পিটিয়ে মারল ছয় কিশোরকে, তাদের কাউকে আজ পর্যন্ত খুঁজে পেল না আমার ছোট ভাই সাংবাদিকেরা? পুলিশ একজনকে খুঁজে পেলেও তাকে ‘বাদী’ করে নিহত হতভাগাদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা সাজানো হয়েছে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া এক কিশোরকে ডাকাত বানিয়েছে, মৃত ছয়জনের কপালে ডাকাতের ছাপ দিয়েছে। যে কিশোরটি বেঁচে গেল, মনে হচ্ছে বেঁচে যাওয়াই কাল হয়েছে। গণপিটুনি দেওয়া খুনিদের দা-কিরিচ তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে মামলা সাজানো হবে। এখন তার অবস্থা ভিক্ষে চাই না, কুত্তা সামলান। প্রাসঙ্গিক কারণেই স্মরণ করছি, লিমন-কাহিনি। র‌্যাবের গুলিতে একটি পা হারিয়ে সেই বেচারা উল্টো মামলায় আসামি হয়ে এক পায়ে খুঁড়িয়ে আদালতে হাজিরা দিচ্ছে।
এতসব অপ-প্রতিবেদনের মধ্যে ভালো লাগল সোমবার রাতে বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানের দুই তরুণ সাংবাদিকের কিছু তথ্যসমৃদ্ধ সরাসরি বক্তব্য। সেই দুজনের একজন হচ্ছেন বৈশাখীর সাভার প্রতিনিধি আবদুল হালিম, অপরজন যুগান্তর-এর জাভেদ মোস্তফা। তাঁদের বক্তব্যের মাঝে উঠে এসেছে প্রকৃত তথ্যের পুরো পশ্চাৎপট। তাঁরাই অন্যান্য মাধ্যমের প্রতিবেদকের বক্তব্য ছাপিয়ে সরাসরি বলেছেন ছয় ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে, এটি একটি ‘অপরাধপ্রবণ এলাকা’। এই সত্যটি স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানেন, পুলিশ জানত, স্থানীয় অধিবাসীরা তো বলছেন বহুদিন ধরে আতঙ্কে রয়েছেন। জনপ্রতিনিধি আর সেখানকার বেআইনিভাবে বালু আহরণকারীরা জানেন। জানত না সাত কিশোর, তাই ‘অপরাধপ্রবণ’ এলাকায় অজান্তে অনুপ্রবেশ করে ‘গণপিটুনিতে’ একজন বেঁচে গেলেও নিহত হয়েছে ছয়জন।
বৈশাখী টেলিভিশনের আলোচনায় দুই সাংবাদিক-প্রতিবেদক সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কীভাবে এখানে সন্ত্রাসী বা ডাকাত ধরতে গিয়ে বা অন্য কোনো কারণে অনুপ্রবেশ করে অতীতে র‌্যাব আর পুলিশের সদস্যরা খুন হয়েছেন। প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতা নিত্য চাঁদা আদায় করছেন ‘মাদকদ্রব্যের ঘাঁটি’ থেকে। দুই ভিন্ন রাজনৈতিক দলের দুই গডফাদার নদীর তথা রাজনৈতিক অঙ্গনের দুই পাশে থাকলেও হাতে হাত মিলিয়ে এলাকাটির সব অনৈতিক কার্যক্রম সমঝোতার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছেন। কী মজার ব্যাপার, সরকার কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের অথবা খাতুনগঞ্জ-ইসলামপুরের সিন্ডিকেটের আড়তদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না, সেসব এলাকায় ঢুঁ মারে না। তেমনি আমিনবাজারের মাদকের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ও হাত দেয় না, হয়তো হাত পাতে। টেলিভিশনে দুই রিপোর্টার তো পরোক্ষে বলেন, কাদের ‘পরোক্ষ তদারকিতে’ চলে এ ব্যবসা।
স্বাভাবিকভাবেই মাদক ব্যবসায়ী ডনদের এলাকাটিতে ক্রেতা-বিক্রেতা ব্যতীত অন্যের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তারা অঘোষিত সান্ধ্য আইন জারি করেছে সেই এলাকায়। সব কটি পত্রিকার খবর পড়ে আমার মনে হয়েছে, অজান্তে বাঘের গুহায় অথবা কেউটে সাপের গর্ত-ভর্তি এলাকায় ঢুকে পড়েছিল ছয় কিশোর। এই বয়সে শবে বরাতের আনন্দ উদ্যাপনে আমরাও দলবেঁধে ঘুরে বেড়িয়েছি। সারা বছর যেসব ছেলে পশ্চিম দিকে মাটিতে একটি ঢুঁ-ও মারে না, সে রাতে জামাতে নামাজ পড়ে হইহল্লা করে বেরিয়ে পড়ে, এপাড়া থেকে ওপাড়ায় ঘুরে বেড়ায়। তাই তো মিরপুর-গাবতলী থেকে নামাজ শেষে ঘুরতে বেরিয়ে কাছেই আমিনবাজারে যাবে, ইটভাটা বা অবৈধ বালুমহালের ঘুমটিঘরে আড্ডা দেবে, এটা তো অস্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু এ যে মাদক ক্রেতা-বিক্রেতা, তাদের পৃষ্ঠপোষক, এলাকার মাতব্বর অথবা ‘টহলদার’ (কাদের জন্য টহল জানি না) পুলিশের সদস্য ব্যতীত অন্যদের জন্য প্রবেশ এমনকি এলাকার জনসাধারণের যাওয়া নিষিদ্ধ, তা এই সাত কিশোর বুঝতে পারেনি। তাই তথাকথিত ‘গণপিটুনিতে’ কয়েকটি পত্রিকার সাংবাদিক ভাইদের ভাষায় ‘প্রাণ গেল’ অথবা ‘গণপিটুনির শিকার’ হলো ছয় কিশোর। আর আমি সরাসরি বলছি, গণহত্যার শিকার হয়েছে। যা হোক, বুধবারের পত্রিকায় অন্তত কয়েকটি পত্রিকা আগের ভুল প্রকাশটি সংশোধন করে শিরোনাম দিয়েছে, ‘ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা।’
আমার কাছে অবাক লাগছে, কারা অথবা নির্দিষ্ট কতজন মিলে ছয়টি তাজা প্রাণ কেড়ে নিল, আজও সেই খোঁজটি পেলেন না গণমাধ্যমের প্রতিনিধি। ‘সর্বনাশ, কারা যেন আমাদের এলাকায় ঢুকে পড়েছে’, এই কথাটি মসজিদের মাইকে কে ঘোষণা দিল, জানান দিল এলাকার টহলদারিদের, মাদক ব্যবসার পাহারাদারদের? কারা এলোপাতাড়ি পেটাল ‘ডাকাত সন্দেহে’ টংঘরে বিশ্রামরত ছয় কিশোরকে, কোথা থেকে তাদের হঠাৎ উদয় ঘটল? পেটোয়া বাহিনীর কারও একটি নামও পত্রিকার পাতায় দেখলাম না। পুলিশ বড়দেশী গ্রামে খুঁজে পেল না, যারা ‘ডাকাত পিটিয়ে’ খুন করার মহোৎসবে মেতেছিল তাদের মাঝে?
অতীতের কিছু ঘটনার বিবরণী রয়েছে প্রথম আলোর প্রথম প্রতিবেদনে। অনেকগুলো বাড়িতে কতিপয় ডাকাতির বিবরণ রয়েছে। সব ডাকাতির খবর সংগৃহীত হয়েছে বলে মনে হয় না। বলা হয়েছে, এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, ডাকাতদের উৎপাত আগেও ছিল। বাড়িতে, বালুমহালের টংঘরে নদীতে চলাচলরত ঘাটে ভিড়িয়ে রাখা নৌযানে ডাকাতি হয়েছে ও হচ্ছে। ক্ষুব্ধ বক্তব্য রয়েছে গ্রামবাসীর। এসব সবই ভয়ংকর সত্য, অসহায় গ্রামবাসীর প্রতিরোধের নিজস্ব ব্যবস্থাও সমর্থন করি। যে সত্যটি গ্রামবাসী কোনো পত্রিকার কোনো প্রতিবেদককে জানায়নি, তা হলে এত বছর ধরে এত যে ঘটনা ঘটেছে, এর আগে কি কোনো রাতে এমনি করে মসজিদের মাইকে পিটুনি দেওয়ায় লোক জড়ো করা হয়েছে? দূর বা নিকট অতীতে কোনো ‘গণপিটুনিতে’ ডাকাত সন্দেহে একজনও খুন হয়েছে কি গ্রামবাসীর হাতে? অবশ্যই হয়নি, হলে নিশ্চয়ই গণমাধ্যমে খবর হতো। নিরীহ গো-বেচারা ছয়টি কিশোর খুন হয়েছে, কারণ আগেই বলেছি, তারা নেকড়ের ডেরায় ঢুকে পড়েছিল, না জেনে কেউটে সাপের গর্তে ভরা বালুর চরে একটুখানি অবকাশ যাপন করতে গিয়েছিল। সেই বাঘ আর কেউটের আস্তানা যারা পাহারা দিত, তারাই কি নির্মমভাবে কপালে ডাকাত কলঙ্কের ছাপ মেরে হত্যা করেছে ছয় যুবককে? তারা কারা, তা কি সাভার থানা কর্তৃপক্ষ, পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহল জানে না?
এসব প্রশ্নের জবাব চাই অপরাধীদের শাস্তি চেয়ে নয়। কারণ, এমন দাবি করা বর্তমান অবস্থায় বাতুলতা অথবা নিরর্থক। জবাব চাই, ছয় যুবকের কপালে সেঁটে দেওয়া কলঙ্কের ছাপটি মুছে ফেলার জন্য, ব্যারিস্টার হতে না পারা নিহত কিশোরটির পিতাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে ভাবাতে চাই, নৃশংস গণহত্যা ঘটে গেল অথচ দুদিন নিশ্চুপ রইলেন আমাদের বিপুল ভোটে ক্ষমতাসীন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পরে বলেন তদন্ত হবে। অবশ্যই হবে, হতে থাকবে, আর আমিনবাজারের নিষিদ্ধ এলাকাটির কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
রবিঠাকুরের কবিতাংশ দিয়ে প্রতিবেদনে ইতি টানছি—
‘আমি-যে দেখিনু তরুণ বালক উন্মাদ হয়ে ছুটে
কী যন্ত্রণায় মরেছে পাথরে নিষ্ফল মাথা কুটে।
কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশী সংগীতহারা,
অমাবস্যায় কারা
লুপ্ত করেছে আমার ভুবন দুঃস্বপনের তলে,
অতঃপর কবির প্রশ্ন:
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ
তুমি কি বেসেছ ভালো।

কবির এই প্রশ্ন আমাদেরও, ছয় যুবকের স্বজনদেরও। যাঁরা নিত্য বলেন এ দেশ থেকে বিচার উঠে গেছে, তাঁরা অবশ্য ভাগ্যকে মেনে নিয়ে আপাতত এমন প্রশ্ন করেন না।

এবিএম মূসা: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

Friday, July 15, 2011

The Fatal Goal of Andres Escobar

Andres Escobar of Colombia reacts after scoring an own goal during a match against the U.S. in the 1994 World Cup.
Andres Escobar`s fatal goal
Andres Escobar
The ball came off John Harkes’ left foot and curled sharply toward the center of the penalty box on a sunny afternoon in Los Angeles on June 22,1994.



As it dipped back to the turf, the ball represented the pride and hope of Colombia and the United States, the two countries involved in that World Cup match.

Ultimately, it bore the despair of one of the most tragic moments in sports history.

Harkes had intended the pass for a teammate streaking toward the goal. Instead, it was intercepted by Colombian defender Andres Escobar, whose sliding deflection wrong-footed his goalkeeper and went into the net.

The goal sent the United States on its way to a stunning 2-1 victory over the mighty pre-tournament favorites.

It sent Escobar’s country reeling, a frenzy that less than two weeks later resulted in his murder in the street outside a Colombian nightclub.

“Sometimes the sport transcends everything politically, culturally,” Harkes said Monday by phone from South Africa. “Everything.”

For one month every four years, that becomes especially evident in ways that affect a game, a country and even a life.

The victory thrust soccer in the United States to the forefront.



“We were doing ‘Good Morning America’ and ‘Nightline’ with Ted Koppel,” said Tab Ramos, who grew up in Harrison and was a midfielder on the 1994 team. “It became a crazy time after that result.”

Said Harkes: “We had accomplished the unthinkable at that time.”

But for the Colombians, the own goal had a disastrous and chilling effect. The 27-year-old Escobar, one of his country’s greatest players and captain for the 1994 national team, was held accountable for the loss.



Colombia failed to make it out of the group stage of the World Cup, its first in 28 years. Ten days after the loss to the U.S., Escobar was shot dead outside a nightclub in Medellin, Colombia, the violence-stained city where he grew up, cultivated a love for the game on its rugged streets and played for Athletico Nacional, a team once owned by infamous drug lord Pablo Escobar, no relation to the player.

Andres Escobar’s death is still cloaked in mysterious circumstances, which ESPN attempts to unravel in its documentary “The Two Escobars” that airs tonight at 9. Humberto Castro Munoz, a bodyguard for members of a powerful Colombian cartel, was charged with Escobar’s murder but was released in 2005, having served just 11 years of a 43-year sentence. Three other accomplices that night were not charged.

Though it was never confirmed that the dispute at the nightclub began over Escobar’s goal, witnesses told police that the last words Escobar heard before his death were, “Thanks for the own goal.”

Even to this day, Harkes knows he will always be tied to Escobar — his mistake, his death.

“The word is connection, and it’s an emotional one,” said Harkes, a Kearny native who is part of ESPN’s coverage of the World Cup.

“The game itself is built on emotions — the highs and lows of the game, pride and passion and heartbreak. That
was a case of my heart sinking to the bottom. My first thought was for his family. It was a hard thing to comprehend at first.”

Harkes heard of Escobar’s death on July 2, hours after the shooting outside the El Indio nightclub.

“It was a sad day,” Harkes said. “I remember coming out to training with the U.S. team. Just as I was coming out there, I had a few reporters in my face straight away asking about Escobar being shot and killed. I was taken aback, taken completely off-guard.”

Even now, Harkes said the memory of Escobar and the play come flooding back, just like past triumphs or regrets.

“You think about when it’s soccer, when it’s own goals, when it’s the World Cup — anything that has a connection,” Harkes said. “You say you try not to, because its part of a play, but it’s a tragic event for his family. That’s just humanity.”

Escobar and his teammates had received death threats prior to the U.S. game, having earlier lost their first game of the tournament. After the goal, the team was warned to stay off the streets amid the mounting disappointment in Colombia. Escobar had written an editorial in the Bogota newspaper El Tiempo expressing his regret for the goal but ending with the words, “See you soon, because life doesn’t end here.”

For those involved in the play — Harkes, Ramos, Escobar’s teammates — life went on. More than anything, the lesson of a game taken too far and the memory of a life cut too short have lived on.

“People would tell me, you can’t control what happens off the field,” Harkes said. “Of course you understand that, but it becomes such an issue dealing with personal lives. For years and years, you don’t know what it was attributed to.

“It’s years and years that have gone by since, but you always think about it. I do.”




The mistake had been fleet, but no one knew how fatal it would be. It was a slip of the mind, a touch of the foot and, suddenly, instead of blocking the ball, Andres Escobar propelled it past his own team's goalie and into Colombia's net. The defensive error gave the U.S. soccer team a 1-0 lead, and eventually a surprise 2-1 victory at the Rose Bowl in Pasadena, California, on June 22. For Escobar and the heavily favored Colombians, it led to World Cup elimination and, in the early morning hours near Medellin last Saturday, murder.
Escobar had been on the town with friends, carousing at a roadside dance bar called Restaurante el Indio, when three men and a woman accosted him at 3:30 a.m. They hurled insults at him for his slipup at the World Cup. When he flung back epithets of his own, two of the men drew handguns. "All of a sudden, we heard gunfire, and then Escobar was on the ground, groaning and clutching his chest," said Jorge Arango, a witness. Escobar had been shot 12 times. One of the assailants reportedly said, "Thanks for the auto-goal, you son of a bitch." The killers then took off in a Toyota pickup truck. Escobar was pronounced dead 45 minutes later.
Colombian authorities believe the killing had been planned. The owner of the getaway truck told police that the assassins had robbed him of the vehicle an hour before the murder, holding him hostage at an isolated point on the road to the Medellin airport. They reportedly told him they were keeping him for two hours to prevent him from alerting the police "until it was all over." Said a police official: "This wasn't spontaneous violence. It was an execution."
As Colombians reacted with shock, other members of the national team were assigned bodyguards. "Much to our disgrace, Andres will go down in posterity as the symbol of the internecine violence that remains the country's greatest challenge," said Hernan Dario Gomez, an assistant coach of the team.
A cloud has always gathered around Colombia's soccer mania. Since Colombia's elimination two weeks ago, the team had received several anonymous threats. In 1989 a referee was killed, apparently by a group of gamblers linked to drug traffickers. This year there had been rumors, none substantiated, that some of the country's drug lords had wagered heavily against the national team. Before the U.S. game, defensive back Jaime Gabriel Gomez withdrew from play after his family received death threats.
Beyond Colombia, the death cast a further pall on the World Cup, which had been receiving a modest but heartening welcome in the U.S. A moment of silence preceded the Germany-Belgium game in Chicago. Said Sepp Blatter, head of soccer's governing body: "If something happens by accident, you can say it was the will of God. But when people deliberately shoot and kill somebody because he made a mistake in the game, something is wrong."

(Time Magazine Monday, July 11, 1994)



Escobar's funeral was attended by over 120,000 people. Every year people honor Escobar by bringing photographs of him to matches. In July 2002, the city of Medellín unveiled a statue in honor of his memory.
Humberto Castro Muñoz, a bodyguard for members of a powerful Colombian cartel, confessed to killing Escobar. Muñoz also worked as a driver for Peter David and Juan Santiago Gallon Henao, who allegedly bet heavily on the Colombian team and was upset at having lost. He was found guilty of Escobar's murder in June 1995. He was sentenced to 43 years in prison. The sentence was later reduced to 26 years because of his submitting to the ruling penal code in 2001. Humberto was released on good behavior due to further reductions from prison work and study in 2005 after serving approximately 11 years. His three accomplices were not charged.


In 2009 and 2010 ESPN broadcast 30 for 30, a series of sports-themed documentaries timed to coincide with the 30th anniversary of the network. The Two Escobars, by directors Jeff and Michael Zimbalist, looked back at Colombia's World Cup run and the relationship of association football and the country's criminal gangs – notably the Medellín Cartel run by Pablo Escobar.
It is suggested in the programme that, had Pablo Escobar (no relation to Andrés) still been alive, the Gallon Brothers would not have targeted Andrés Escobar, as it was widely known that Pablo Escobar was a fervent supporter of the Colombian national football team and was a friend of all the players on the national team. Escobar had personally funded the construction of many of the football fields that exist in the poorer regions of Medellín and had indirectly funded many of the costs associated with training the Colombian players and preparing the national team for international play. The players visited him in prison prior to beginning their World Cup qualifying run.
It is also suggested in the programme that the murder was not an execution, but merely a random encounter in a club parking lot – an argument between men fueled by alcohol, anger, and ego.
There are also allegations that the Gallon Brothers bribed the Prosecutor's Office to redirect the investigation towards Muñoz as the triggerman - and the Prosecutor's Office contends that Muñoz was simply following orders from the Gallon Brothers, but prosecutors lacked credible evidence to convict them. Cascardo believes that the accusation of the Gallon Brothers' bribery of government officials is supported by the fact that Muñoz killed a national celebrity and only received 11 years in prison as punishment. Many of the Colombian national team players quit playing football after the murder.


  1. Source:
  2. 1. http://en.wikipedia.org/wiki/Andr%C3%A9s_Escobar
  3. 2. http://www.time.com/time/magazine/article/0,9171,981082,00.html
  4. 3. http://www.nj.com/soccer-news/index.ssf/2010/06/andres_escobars_own_goal_murde.html

Wednesday, July 6, 2011

Its all about 'Dream'!


“You see things; and you say, 'Why?' But I dream things that never were; and I say, 'Why not?'”
 George Bernard Shaw


Throughout history, artists, inventors, writers and scientists have solved problems in their dreams.



Dream Leads to Nobel Prize
Otto Loewi (1873-1961), a German born physiologist, won the Nobel Prize for medicine in 1936 for his work on the chemical transmission of nerve impulses. In 1903, Loewi had the idea that there might be a chemical transmission of the nervous impulse rather than an electrical one, which was the common held belief, but he was at a loss on how to prove it. He let the idea slip to the back of his mind until 17 years later he had the following dream. According to Loewi: "The night before Easter Sunday of that year I awoke, turned on the light, and jotted down a few notes on a tiny slip of paper. Then I fell asleep again. It occurred to me at 6 o'clock in the morning that during the night I had written down something most important, but I was unable to decipher the scrawl. The next night, at 3 o'clock, the idea returned. It was the design of an experiment to determine whether or not the hypothesis of chemical transmission that I had uttered 17 years ago was correct. I got up immediately, went to the laboratory, and performed a single experiment on a frog's heart according to the nocturnal design."
It took Loewi a decade to carry out a decisive series of tests to satisfy his critics, but ultimately the result of his initial dream induced experiment became the foundation for the theory of chemical transmission of the nervous impulse and led to a Nobel Prize!
Dr. Loewi noted: "Most so called 'intuitive' discoveries are such associations made in the subconscious."

Abraham Lincoln Dreamt of His Assassination
President Abraham Lincoln recounted the following dream to his wife just a few days prior to his assassination:
"About ten days ago, I retired very late. I had been up waiting for important dispatches from the front. I could not have been long in bed when I fell into a slumber, for I was weary.
I soon began to dream.


There seemed to be a death-like stillness about me. Then I heard subdued sobs, as if a number of people were weeping. I thought I left my bed and wandered downstairs. There the silence was broken by the same pitiful sobbing, but the mourners were invisible. I went from room to room; no living person was in sight, but the same mournful sounds of distress met me as I passed along. It was light in all the rooms; every object was familiar to me; but where were all the people who were grieving as if their hearts would break?
I was puzzled and alarmed. What could be the meaning of all this? Determined to find the cause of a state of things so mysterious and so shocking, I kept on until I arrived at the East Room, which I entered. There I met with a sickening surprise. Before me was a catafalque, on which rested a corpse wrapped in funeral vestments. Around it were stationed soldiers who were acting as guards; and there was a throng of people, some gazing mournfully upon the corpse whose face was covered, others weeping pitifully.
'Who is dead in the White House?' I demanded of one of the soldiers "The President" was his answer; "he was killed by an assassin!" Then came a loud burst of grief form the crowd, which awoke me from my dream."
Lincoln ascribed powerful meanings to his dreams. One of his recurring dreams in particular he considered foretelling and a sign of major events soon to occur. He had this dream the night before his assassination. On the morning of that lamentable day, President Lincoln was discussing matters of the war with General Grant during a cabinet meeting and believed that big news from General Sherman on the front would soon arrive. When Grant asked why he thought so, Lincoln responded:
"I had a dream last night; and ever since this war began I have had the same dream just before every event of great national importance. It portends some important event that will happen very soon."
His friend and law partner, Ward Hill Lamon, noted that Byron's "The Dream" was one of Lincoln's favorite poems and he often heard him repeat the following lines:
Sleep hath its own world,
A boundary between the things misnamed
Death and existence: Sleep hath its own world,
And a wide realm of wild reality,
And dreams in their development have breath,
And tears, and tortures, and the touch of joy;
They leave a weight upon our waking thoughts,
They take a weight from off waking toils,
They do divide our being;


Kekulé - Dreams of Molecules & Benzene Structure
Friedrich August Kekulé von Stradonitz is a remarkable figure in the history of chemistry, specifically organic chemistry.
Twice Kekulé had dreams that led to major discoveries!
Kekulé discovered the tetravalent nature of carbon, the formation of chemical/ organic "Structure Theory", but he did not make this breakthrough by experimentation alone. He had a dream! As he described in a speech given at the Deutsche Chemische Gesellschaft (German Chemical Society):


"I fell into a reverie, and lo, the atoms were gamboling before my eyes! Whenever, hitherto, these diminutive beings had appeared to me, they had always been in motion; but up to that time, I had never been able to discern the nature of their motion. Now, however, I saw how, frequently, two smaller atoms united to form a pair; how a larger one embraced the two smaller ones; how still larger ones kept hold of three or even four of the smaller; whilst the whole kept whirling in a giddy dance. I saw how the larger ones formed a chain, dragging the smaller ones after them, but only at the ends of the chain. . . The cry of the conductor: “Clapham Road,” awakened me from my dreaming; but I spent part of the night in putting on paper at least sketches of these dream forms. This was the origin of the Structural Theory."
Later, he had a dream that helped him discover that the Benzene molecule, unlike other known organic compounds, had a circular structure rather than a linear one... solving a problem that had been confounding chemists:
"...I was sitting writing on my textbook, but the work did not progress; my thoughts were elsewhere. I turned my chair to the fire and dozed. Again the atoms were gamboling before my eyes. This time the smaller groups kept modestly in the background. My mental eye, rendered more acute by the repeated visions of the kind, could now distinguish larger structures of manifold conformation; long rows sometimes more closely fitted together all twining and twisting in snake-like motion. But look! What was that? One of the snakes had seized hold of its own tail, and the form whirled mockingly before my eyes. As if by a flash of lightning I awoke; and this time also I spent the rest of the night in working out the consequences of the hypothesis."
The snake seizing it's own tail gave Kekulé the circular structure idea he needed to solve the Benzene problem!

Mary Shelley's Frankenstein Inspired By a Dream

In the summer of 1816, nineteen-year-old Mary Wollstonecraft Godwin and her lover, the poet Percy Shelley (whom she married later that year), visited the poet Lord Byron at his villa beside Lake Geneva in Switzerland. Stormy weather frequently forced them indoors, where they and Byron's other guests sometimes read from a volume of ghost stories. One evening, Byron challenged his guests to each write one themselves.
Mary's story, inspired by a dream, became Frankenstein.
"When I placed my head upon my pillow, I did not sleep, nor could I be said to think... I saw -- with shut eyes, but acute mental vision -- I saw the pale student of unhallowed arts kneeling beside the thing he had put together. I saw the hideous phantasm of a man stretched out, and then, on the working of some powerful engine, show signs of life, and stir with an uneasy, half-vital motion. Frightful must it be; for supremely frightful would be the effect of any human endeavor to mock the stupendous Creator of the world.
    ...I opened mine in terror. The idea so possessed my mind, that a thrill of fear ran through me, and I wished to exchange the ghastly image of my fancy for the realities around. ...I could not so easily get rid of my hideous phantom; still it haunted me. I must try to think of something else. I recurred to my ghost story -- my tiresome, unlucky ghost story! O! if I could only contrive one which would frighten my reader as I myself had been frightened that night!
    Swift as light and as cheering was the idea that broke upon me. 'I have found it! What terrified me will terrify others; and I need only describe the spectre which had haunted me my midnight pillow.' On the morrow I announced that I had thought of a story. I began that day with the words, 'It was on a dreary night of November', making only a transcript of the grim terrors of my waking dream."
Mary Wollstonecraft Shelley, from her introduction to Frankenstein
The Strange Dream of Dr. Jekyll and Mr. Hyde

The novelist Robert Louis Stevenson (1850-1894) described dreams as occurring in "that small theater of the brain which we keep brightly lighted all night long."
Stevenson said of his now classic novel The Strange Case of Dr. Jekyll and Mr. Hyde, it was "conceived, written, re-written, re-re-written, and printed inside ten weeks" in 1886. And was conceived in a dream as he describes:
"For two days I went about racking my brains for a plot of any sort; and on the second night I dreamed the scene at the window, and a scene afterward split in two, in which Hyde, pursued for some crime, took the powder and underwent the change in the presence of his pursuers."

His wife related picturesquely how one night Louis cried out horror-stricken, how she woke him up and he protested, "Why did you waken me? I was dreaming a fine bogy-tale!" She also related how he appeared the next morning excitedly exclaiming, "I have got my schilling-shocker -- I have got my schilling-shocker!"
Stevenson wrote extensively about how his passion for writing interacted with his remarkable dreams and said that, from an early age, his dreams were so vivid and moving that they were more entertaining to him personally than any literature. He learned early in his life that he could dream complete stories and that he could even go back to the same dreams on succeeding nights to give them a different ending. Later he trained himself to remember his dreams and to dream plots for his books.




Source:
1.http://www.brilliantdreams.com/product/famous-dreams.htm
2.http://thinkexist.com/quotations/dreams/

Tuesday, July 5, 2011

প্রাচীন মন্দির খুলে দেওয়া হলো প্রাচীন মন্দির অ্যাংকর ভাট

প্রাচীন মন্দির অ্যাংকর ভাট




কয়েক দশক ধরে সংস্কার কাজের পর কম্বোডিয়ার অন্যতম প্রাচীন মন্দির অ্যাংকর ভাট খুলে দেওয়া হয়েছে। এই সংস্কার কাজকে বিশ্বের জটিল কাজ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
অ্যাংকর ভাট মন্দিরটির সংস্কারের কাজ শুরু হয় ষাটের দশকে। তবে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সময় এই কাজ বন্ধ থাকে। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে আবার কাজ শুরু হয়।
এগারো শতকে অ্যাংকর ভাট কমপ্লেক্সে তিন সারি টাওয়ার ছিল। এর আকর্ষণে বছরে প্রায় বিশ লাখ পর্যটক অ্যাংকর ভাটে আসতেন।
সংস্কার শেষে সম্প্রতি অ্যাংকর ভাট মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ার রাজা নরোদম সিহামনি ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁইঙ্ক ফিলো উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ফিলো বলেন, ‘বাফুয়নের কাজটি সত্যিই অন্য রকম হয়েছে।রাজা নরোদম এই কাজের প্রকল্পে অর্থ সহায়তার জন্য ফ্রান্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ফ্রান্স এই প্রকল্পে এক কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়।
বিবিসির সাংবাদিক গাই ডে লাওনে নমপেন থেকে জানান, মন্দিরের সবচেয়েআকর্ষণীয়ভাস্কর্যবাফুয়ন ভাস্কর্যেরও সংস্কার করা হয়। এই ভাস্কর্যের তিন লাখ বেলেপাথরের ব্লক খুলে নিয়ে আবারও যথাস্থানে বসানো হয়েছে।
পঞ্চাশের দশকে বাফুয়ন ভাস্কর্য ধসে পড়ার উপক্রম হয়। ফ্রান্সের প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল অ্যাংকর ভাট পরিদর্শন করে সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে একমাত্র পুনর্নির্মাণ করেই এটি রক্ষা করা যেতে পারে। তাঁরা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলেন। পাথরের ব্লকগুলো নামিয়ে নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করেন। হুবহু পুনর্নির্মাণের জন্য মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে এটা করা হয়। কারণেই টাওয়ারটি তাঁরা পুনরায় নির্মাণ করতে সক্ষম হন। খেমাররুজদের শাসনামলে পুনর্নির্মাণকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৯৫ সালে এর পুনর্নির্মাণকাজ শুরু হয়।
পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্যাসকেল রোয়েরে বলেন, ‘কাজ শুরুর প্রথম বছরগুলো ছিল সবচেয়ে কঠিন সময়। তিন লাখ বেলেপাথর এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যে পাথরটি আগে যে স্থানে ছিল এখনো সে স্থানেই রয়েছে। তাই একই ধরনের দুটি পাথর কখনোই পাশাপাশি বসেনি

অ্যাংকর ভাট (অর্থাৎ "শহরের মন্দির", "অ্যাংকর" হল সংস্কৃত "নগর" শব্দের স্থানীয় উচ্চারণ) কম্বোডিয়ার অ্যাংকরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মধ্যযুগীয় মন্দির। সুবিশাল এই স্থাপনাটি বিশ্বের সর্ববৃহমন্দির
১২শ শতাব্দীতে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন রাজা ২য় সূর্যবর্মণ তিনি এটিকে তাঁর রাজধানী প্রধান উপাসনালয় হিসাবে তৈরি করেন। তখন থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসাবে বিবেচিত। প্রথমদিকে হিন্দু মন্দির হিসাবে ব্যবহৃত হলেও পরে এটি বৌদ্ধ মন্দিরে পরিণত হয়
অ্যাংকর ভাটের নির্মাণশৈলী খ্মের সাম্রাজ্যের স্থাপত্য শিল্পকলার অনুপম নিদর্শন। এটি কম্বোডিয়ার জাতীয় পতাকায় স্থান পেয়েছে, এবং দেশটির প্রধান পর্যটন আকর্ষণ



অ্যাংকর
ভাটে খ্মের মন্দির নির্মাণ কৌশলের দুই ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে - টেম্পল মাউন্টেন বা পাহাড়ি মন্দির ধাঁচ, গ্যালারি মন্দির ধাঁচ। এটি হিন্দু পুরাণের দেব-দেবীদের বাসস্থান মেরু পর্বতের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। এর চারদিকে রয়েছে পরিখা . কিমি দীর্ঘ প্রাচীর। ভিতরে ৩টি আয়তাকার গ্যালারি বা বেদি আকৃতির উঁচু এলাকা রয়েছে। মন্দিরের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে স্তম্ভাকৃতির স্থাপনা। অ্যাংকরের অন্যান্য মন্দিরের সাথে পার্থক্য হল - এটির সম্মুখ ভাগ পশ্চিমমুখী। মন্দিরটির বিশালত্ব, সৌন্দর্য ছাড়াও এর দেয়ালের কারুকার্যের জন্য এটি সারাবিশ্বে পরিচিত
অ্যাংকর ভাট মন্দিরের নির্মাণকার্য শুরু হয় ১২শ শতাব্দীর প্রথমভাগে, রাজা ২য় সূর্যবর্মণের রাজত্বকালে (১১১৩-১১৫০) মন্দিরটির আরাধ্যদেবতা ছিল বিষ্ণু এটি সূর্যবর্মণের মূল মন্দির রাজধানী হিসাবেও ব্যবহৃত হতো। তবে মন্দিরের স্থাপনার সময়কার কোন লেখা বা সমসাময়িক কোন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় নাই বলে মন্দিরটির আদি নাম কী ছিল, তা অজ্ঞাত
মন্দিরটি বর্তমানকালের সিয়েম রিপ শহরের . কিমি. উত্তরে, এবং প্রাচীন রাজধানী শহর বাফুওন এর সামান্য দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। রাজা সূর্যবর্মণের মৃত্যুর পর এর নির্মাণ কার্য বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এর দেয়ালের কিছু কারূকার্য অসমাপ্ত থেকে যায়১১৭৭ সালে অ্যাংকর শহরটি খ্মেরদের চিরাচরিত শত্রু চামদের হাতে পরাজিত লুণ্ঠিত হয়। এর পরে নতুন রাজা ৭ম জয়বর্মণ রাজ্যটিকে পূনর্গঠিত করেন। তিনি অ্যাংকর ভাটের কয়েক কিমি উত্তরে অ্যাংকর থোম নতুন রাজধানী বায়ুন নগরে প্রধান মন্দির স্থাপন করেন। .
রাজনৈতিক সামাজিক পরিবর্তনের ফলশ্রুতিতে কম্বোডিয়ায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রচলন ঘটে। ফলে ১৪শ বা ১৫শ শতাব্দীতে অ্যাংকর ভাট বৌদ্ধ মন্দিরে পরিণত হয়, যা আজ পর্যন্ত বজায় আছে। অ্যাংকরের অন্যান্য মন্দিরের সাথে এর আরেকটি পার্থক্য হল - যদিও ১৬শ শতাব্দীর পরে এটি কিছুটা অবহেলিত হয়, তথাপি অন্যান্য মন্দিরের মতো এটি কখনোই পরিত্যক্ত হয় নাই। চারদিকে পরিখা থাকায় বন জঙ্গলের গ্রাস থেকে মন্দিরটি রক্ষা পায়।  এসময় মন্দিরটি সূর্যবর্মণের মরণোত্তর উপাধি অনুসারে প্রিয়াহ পিস্নুলোক নামে পরিচিত ছিল। আধুনিক নামটি, অর্থাঅ্যাংকর ভাট নামটির ব্যবহার ১৬শ শতাব্দী হতে শুরু হয়। এই নামটির অর্থ হল নগর মন্দির অ্যাংকর শব্দটি এসেছে নকর শব্দ হতে, যা আসলে সংস্কৃত শব্দ নগর এর অপভ্রংশ। আর ভাট হল খ্মের ভাষা শব্দ যার অর্থ মন্দির
পশ্চিমা পরিব্রাজকদের মধ্যে এই মন্দিরে প্রথম আগমন ঘটে পর্তুগিজ ধর্মপ্রচারক আন্তোনিও দা মাগদালেনার। তিনি ১৫৮৬ সালে প্রথম এই মন্দির এলাকা ভ্রমণ করেন। তিনি লিখেছেন, এটি (মন্দিরটি) এমন অসাধারণ ভাবে নির্মিত যে, ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। সারা বিশ্বে এরকম আর কোন ভবন বা স্থাপনার অস্তিত্ব নাই। এখানে রয়েছে খিলান অন্যান্য কারুকার্য, মানুষের পক্ষে সম্ভাব্য সেরা সৃষ্টি। তবে পাশ্চাত্যে এই মন্দিরের কথা ছড়িয়ে পড়ে উনবিংশ শতাব্দীতে ফরাসি অভিযাত্রী অনরি মৌহত এর ভ্রমণকাহিনীর মাধ্যমে। তিনি লিখেছিলেন,
এই মন্দিরগুলির মধ্যে একটি (অ্যাংকর ভাট), সলোমনের মন্দিরকেও হার মানায়। মাইকেলেঞ্জেলো মতোই কোন প্রাচীন শিল্পী এটি নির্মান করেছেন। আমাদের সবচেয়ে সুন্দর ভবন সমূহের সাথে এটি সমতূল্য। এটি এমনকী প্রাচীন গ্রিস বা প্রাচীন রোমের স্থাপনা গুলির চাইতেও অনেক বেশি রাজকীয়, সুন্দর। বর্তমানে এই দেশটি (কম্বোডিয়া এলাকা) যে বর্বরতার মধ্যে নিমজ্জিত হয়েছে, তার সাথে এই মন্দিরের বিশালতার সৌন্দর্যের এক বিশাল ফারাক রয়েছে
অন্যান্য পাশ্চাত্যের পরিব্রাজকদের মত মৌহতও বিশ্বাস করতে পারেন নাই যে, খ্মেররাই এই মন্দির নির্মাণ করেছিল। তিনি ভুলক্রমে ধারণা করেন, মন্দিরটি রোম সাম্রাজ্যের সমসাময়িক। অ্যাংকর ভাটের প্রকৃত ইতিহাস উদঘাটিত হয় এখানকার স্থাপত্যশৈলী শিলালিপি হতে, যা মন্দিরের সমস্ত এলাকা পরিষ্কার করার পরে প্রকাশ পায়
বিংশ শতাব্দীতে অ্যাংকর ভাটের ব্যাপক সংস্কার সম্পন্ন হয়। সময় প্রধানত এর চারিদিকে গ্রাস করে নেয়া মাটি জঙ্গল সাফ করা হয় গৃহযুদ্ধ খ্মের রুজ শাসনামলে ১৯৭০ ১৯৮০ এর দশকগুলিতে সংস্কার কার্য বাধাগ্রস্ত হয়। তবে অ্যাংকর ভাট এলাকায় পরে স্থাপিত মূর্তিগুলি চুরি যাওয়া ধ্বংস করে ফেলা ছাড়া মূল মন্দিরের খুব একটা ক্ষতি এসময় হয় নাই।
বর্তমানে অ্যাংকর ভাটের মন্দিরটি কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এটি দেশবাসীর গৌরব। ১৮৬৩ সালে প্রথম প্রবর্তনের পর থেকে কম্বোডিয়ার সব পতাকাতেই অ্যাংকর ভাটের প্রতিকৃতি স্থান পেয়েছে। সারা বিশ্বে এটিই একমাত্র ভবন যা কোন দেশের পতাকায় প্রদর্শিত হয়েছে
অ্যাংকর ভাটে মন্দিরটি খ্মের স্থাপত্যের প্রকৃষ্ট নিদর্শন। পরবর্তীতে এধরণের স্থাপত্য কলাকে অ্যাংকর ভাট রীতি নাম দেয়া হয়। ১২শ শতক নাগাদ খ্মের স্থপতিরা ইটের বদলে স্যান্ডস্টোন (বা পাথর) ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করেন। অ্যাংকর ভাটের রীতির পরে শুরু হয় বায়ুন পর্ব, যখন সৌন্দর্যের চাইতে বিশাল আকারের স্থাপনা গড়াকেই প্রাধান্য দেয়া হয়।  এই সময়ের অন্যান্য মন্দিরের মধ্যে রয়েছে বান্তাই সাম্রে, থোম্মানন, চাও সে তাভোদা এবং অ্যাংকর এর প্রিয়া পিথু আদি মন্দির গুলি। অ্যাংকরের বাইরে বেং মিয়ালিয়া, এবং ফানম রুং ফিমাই এর মন্দির গুলি এই ধাঁচ অনুসরণ করেছে
অ্যাংকর ভাটের মন্দিরটি এর স্থাপত্যকলার সৌন্দর্যের জন্য প্রশংসিত। এর সাথে প্রাচীন গ্রিস বা প্রাচীন রোমের স্থাপত্য কলার তুলনা করা হয়েছে। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে অ্যাংকরের সংরক্ষণকারী মরিস গ্লেইজের মতে, "It attains a classic perfection by the restrained monumentality of its finely balanced elements and the precise arrangement of its proportions. It is a work of power, unity and style."
অ্যাংকর ভাট মন্দিরের অবস্থান হল ১৩°২৪৪৯উত্তর, ১০৩°৫২পূর্ব এটি কম্বোডীয় স্থাপত্য, কম্বোডীয় রাজকীয় মন্দিরের প্রথাগত গড়ন, এবং এককেন্দ্রীক গ্যালারি রীতির সংমিশ্রন। এটি হিন্দু পুরাণে বর্ণিত দেবতাদের আবাস মেরু পর্বতের আদলে গড়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ৫টি টাওয়ার মেরু পর্বতের ৫টি পর্বত শৃঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করছে। দেয়াল পরিখা হল পর্বতমালা মহাসাগরের প্রতীক।মন্দিরের উচ্চতর অংশগুলিতে প্রবেশ ক্রমশ দুরুহ হয়েছে। সাধারণ জনতাকে কেবল মন্দিরের নীচের অংশেই প্রবেশ করতে দেয়া হত।
অন্যান্য খ্মের মন্দির যেখানে পূর্ব দিকে মুখ করে নির্মিত হয়েছে, সেখানে অ্যাংকর ভাটের মন্দিরটি একটি ব্যতিক্রম। এটি পশ্চিম দিকে মুখ করে নির্মিত। অনেকের মতে (মরিস গ্লেইজ জর্জ কোয়েদেস সহ) এর কারণ হল, এটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। এর আরো প্রমাণ হল, এর দেয়ালের কারুকার্য, যেখানে নকশাগুলি ঘড়ির কাঁটার উল্টা দিকে করে বসানো আছে। হিন্দু অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে এভাবে উল্টা ক্রমে কাজ করা হয়। পুরাতত্ত্ববিদ চার্লস হিগাম এখানকার কেন্দ্রীয় টাওয়ারে একটি কলসী জাতীয় বস্তু পেয়েছেন, যা সম্ভবত অন্তেষ্টিক্রিয়ার সময় চিতাভষ্ম রাখার জন্য ব্যবহার করা হত। তবে ফ্রিম্যান জাঁকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী অ্যাংকরের আরো কিছু মন্দির এরকম পশ্চিম মুখী করে বানানো, তাঁদের মতে অ্যাংকর ভাটের পশ্চিমমুখিতার কারণ হল এটি বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে নিবেদিত মন্দির। উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, বিষ্ণু দেবতা পশ্চিম দিকের সাথে জড়িত
এলেনর মান্নিক্কা মন্দিরটির সম্পর্কে আরেকটি ধারণা প্রদান করেছেন। মন্দিরের অবস্থান আকৃতির ভিত্তিতে এবং চিত্রাবলীর বিষয় বিন্যাসের কারণে তাঁর ধারণা, এটি রাজা ২য় সুর্যবর্মণের শাসনামলের দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পরিচায়ক এই ধারণাটি অবশ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে সর্বাঙ্গীনভাবে গৃহীত হয় নাই।  গ্রাহাম হ্যানককের মতে অ্যাংকর ভাট হলো দ্রাকো নক্ষত্রপুঞ্জের প্রতীক।
বাইরের দেয়ালটি দৈর্ঘ্যে ১০২৫ মিটার, প্রস্থে ৮০২ মিটার, এবং উচ্চতায় . মিটার। এর চার দিকে ৩০ মিটার দূরত্বে ১৯০ মিটার চওড়া একটি পরিখা আছে। মন্দিরে প্রবেশ করার জন্য পূর্ব দিকে একটি মাটির পাড় এবং পশ্চিম দিকে একটি স্যান্ডস্টোনের পুল রয়েছে। এই পুলটি মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বার, এবং মন্দির নির্মাণের অনেক পরে যোগ করা হয়েছে। ধারণা করা হয় যে, এর স্থানে পূর্বে একটি কাঠের পুল ছিলো।  বাইরের দেয়ালটি দৈর্ঘ্যে ১০২৫ মিটার, প্রস্থে ৮০২ মিটার, এবং উচ্চতায় . মিটার। এর চার দিকে ৩০ মিটার দূরত্বে ১৯০ মিটার চওড়া একটি পরিখা আছে। মন্দিরে প্রবেশ করার জন্য পূর্ব দিকে একটি মাটির পাড় এবং পশ্চিম দিকে একটি স্যান্ডস্টোনের পুল রয়েছে। এই পুলটি মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বার, এবং মন্দির নির্মাণের অনেক পরে যোগ করা হয়েছে। ধারণা করা হয় যে, এর স্থানে পূর্বে একটি কাঠের পুল ছিলো।

১৯৯০
এর দশক হতে অ্যাংকর ভাটের রক্ষণাবেক্ষণ সংস্কার কার্যক্রম আবার শুরু হয়। এর সাথে সাথে শুরু হয় পর্যটনশিল্প। ভারতের পুরাতাত্তিক সংস্থা ১৯৮৬ হতে ১৯৯২ সালের মধ্যে মন্দিরটিতে সংস্কারের কাজ করে।  মন্দিরটি অ্যাংকরের বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসাবে ইউনেস্কো কর্তৃক ১৯৯২ সালে স্বীকৃত হয়। এতে করে মন্দিরের সংস্কারের জন্য অর্থায়ন কম্বোডিয়া সরকারের দ্বারা মন্দিরের সুরক্ষার কার্যক্রম সহজতর হয়েছে।  জার্মানির অপ্সরা সংরক্ষণ প্রকল্প এই মন্দিরের অপ্সরা দেবতাদের ছবি সম্বলিত কারুকার্যমন্ডিত দেয়ালের নকশাকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করছে। সংস্থাটির সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, প্রাকৃতিকভাবেই পাথর ক্ষয়ে যাওয়ায় দেবতামূর্তিগুলির ২০ শতাংশেরই খুব করুণ দশা। তার উপরে শুরুর দিকের সংরক্ষণকারীদের অনভিজ্ঞতার ফলেও অনেক ক্ষতি হয়েছে সংস্কার কার্যের অন্যান্য দিকের মধ্যে রয়েছে ধ্বসে যাওয়া অংশ মেরামত। যেমন, উপরের স্তরের পশ্চিম দিকের ২০০২ সাল থেকেই খুঁটি দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে জাপানি বিশেষজ্ঞ্ররা ২০০৫ সালে উত্তর দিকের পাঠাগার মেরামত করেছেন।
২০০৪ সালে কম্বোডিয়াতে মোট পর্যটকের সংখ্যা ছিল ১০ লাখের বেশি, যার অন্তত ৫৭% অ্যাংকর ভাটে যাবার পরিকল্পনা করেছিলেন।. পর্যটকদের আনাগোনার ফলে অল্প কিছু দেয়াল লিখন ছাড়া মন্দির এলাকার খুব ক্ষতি হয় নাই। মন্দিরের কারুকার্যকে রক্ষা করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পর্যটনশিল্পে লদ্ধ আয়ের ২৮% মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহার করা হয়।



Source:
1.  Wikipedia
2. Daily Prothom Alo