Make our mind vaster than space

Make our mind vaster than space
Milky Way Galaxy

Tuesday, July 5, 2011

প্রাচীন মন্দির খুলে দেওয়া হলো প্রাচীন মন্দির অ্যাংকর ভাট

প্রাচীন মন্দির অ্যাংকর ভাট




কয়েক দশক ধরে সংস্কার কাজের পর কম্বোডিয়ার অন্যতম প্রাচীন মন্দির অ্যাংকর ভাট খুলে দেওয়া হয়েছে। এই সংস্কার কাজকে বিশ্বের জটিল কাজ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
অ্যাংকর ভাট মন্দিরটির সংস্কারের কাজ শুরু হয় ষাটের দশকে। তবে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সময় এই কাজ বন্ধ থাকে। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে আবার কাজ শুরু হয়।
এগারো শতকে অ্যাংকর ভাট কমপ্লেক্সে তিন সারি টাওয়ার ছিল। এর আকর্ষণে বছরে প্রায় বিশ লাখ পর্যটক অ্যাংকর ভাটে আসতেন।
সংস্কার শেষে সম্প্রতি অ্যাংকর ভাট মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ার রাজা নরোদম সিহামনি ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁইঙ্ক ফিলো উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ফিলো বলেন, ‘বাফুয়নের কাজটি সত্যিই অন্য রকম হয়েছে।রাজা নরোদম এই কাজের প্রকল্পে অর্থ সহায়তার জন্য ফ্রান্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ফ্রান্স এই প্রকল্পে এক কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়।
বিবিসির সাংবাদিক গাই ডে লাওনে নমপেন থেকে জানান, মন্দিরের সবচেয়েআকর্ষণীয়ভাস্কর্যবাফুয়ন ভাস্কর্যেরও সংস্কার করা হয়। এই ভাস্কর্যের তিন লাখ বেলেপাথরের ব্লক খুলে নিয়ে আবারও যথাস্থানে বসানো হয়েছে।
পঞ্চাশের দশকে বাফুয়ন ভাস্কর্য ধসে পড়ার উপক্রম হয়। ফ্রান্সের প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল অ্যাংকর ভাট পরিদর্শন করে সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে একমাত্র পুনর্নির্মাণ করেই এটি রক্ষা করা যেতে পারে। তাঁরা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলেন। পাথরের ব্লকগুলো নামিয়ে নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করেন। হুবহু পুনর্নির্মাণের জন্য মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে এটা করা হয়। কারণেই টাওয়ারটি তাঁরা পুনরায় নির্মাণ করতে সক্ষম হন। খেমাররুজদের শাসনামলে পুনর্নির্মাণকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৯৫ সালে এর পুনর্নির্মাণকাজ শুরু হয়।
পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্যাসকেল রোয়েরে বলেন, ‘কাজ শুরুর প্রথম বছরগুলো ছিল সবচেয়ে কঠিন সময়। তিন লাখ বেলেপাথর এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যে পাথরটি আগে যে স্থানে ছিল এখনো সে স্থানেই রয়েছে। তাই একই ধরনের দুটি পাথর কখনোই পাশাপাশি বসেনি

অ্যাংকর ভাট (অর্থাৎ "শহরের মন্দির", "অ্যাংকর" হল সংস্কৃত "নগর" শব্দের স্থানীয় উচ্চারণ) কম্বোডিয়ার অ্যাংকরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মধ্যযুগীয় মন্দির। সুবিশাল এই স্থাপনাটি বিশ্বের সর্ববৃহমন্দির
১২শ শতাব্দীতে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন রাজা ২য় সূর্যবর্মণ তিনি এটিকে তাঁর রাজধানী প্রধান উপাসনালয় হিসাবে তৈরি করেন। তখন থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসাবে বিবেচিত। প্রথমদিকে হিন্দু মন্দির হিসাবে ব্যবহৃত হলেও পরে এটি বৌদ্ধ মন্দিরে পরিণত হয়
অ্যাংকর ভাটের নির্মাণশৈলী খ্মের সাম্রাজ্যের স্থাপত্য শিল্পকলার অনুপম নিদর্শন। এটি কম্বোডিয়ার জাতীয় পতাকায় স্থান পেয়েছে, এবং দেশটির প্রধান পর্যটন আকর্ষণ



অ্যাংকর
ভাটে খ্মের মন্দির নির্মাণ কৌশলের দুই ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে - টেম্পল মাউন্টেন বা পাহাড়ি মন্দির ধাঁচ, গ্যালারি মন্দির ধাঁচ। এটি হিন্দু পুরাণের দেব-দেবীদের বাসস্থান মেরু পর্বতের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। এর চারদিকে রয়েছে পরিখা . কিমি দীর্ঘ প্রাচীর। ভিতরে ৩টি আয়তাকার গ্যালারি বা বেদি আকৃতির উঁচু এলাকা রয়েছে। মন্দিরের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে স্তম্ভাকৃতির স্থাপনা। অ্যাংকরের অন্যান্য মন্দিরের সাথে পার্থক্য হল - এটির সম্মুখ ভাগ পশ্চিমমুখী। মন্দিরটির বিশালত্ব, সৌন্দর্য ছাড়াও এর দেয়ালের কারুকার্যের জন্য এটি সারাবিশ্বে পরিচিত
অ্যাংকর ভাট মন্দিরের নির্মাণকার্য শুরু হয় ১২শ শতাব্দীর প্রথমভাগে, রাজা ২য় সূর্যবর্মণের রাজত্বকালে (১১১৩-১১৫০) মন্দিরটির আরাধ্যদেবতা ছিল বিষ্ণু এটি সূর্যবর্মণের মূল মন্দির রাজধানী হিসাবেও ব্যবহৃত হতো। তবে মন্দিরের স্থাপনার সময়কার কোন লেখা বা সমসাময়িক কোন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় নাই বলে মন্দিরটির আদি নাম কী ছিল, তা অজ্ঞাত
মন্দিরটি বর্তমানকালের সিয়েম রিপ শহরের . কিমি. উত্তরে, এবং প্রাচীন রাজধানী শহর বাফুওন এর সামান্য দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। রাজা সূর্যবর্মণের মৃত্যুর পর এর নির্মাণ কার্য বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এর দেয়ালের কিছু কারূকার্য অসমাপ্ত থেকে যায়১১৭৭ সালে অ্যাংকর শহরটি খ্মেরদের চিরাচরিত শত্রু চামদের হাতে পরাজিত লুণ্ঠিত হয়। এর পরে নতুন রাজা ৭ম জয়বর্মণ রাজ্যটিকে পূনর্গঠিত করেন। তিনি অ্যাংকর ভাটের কয়েক কিমি উত্তরে অ্যাংকর থোম নতুন রাজধানী বায়ুন নগরে প্রধান মন্দির স্থাপন করেন। .
রাজনৈতিক সামাজিক পরিবর্তনের ফলশ্রুতিতে কম্বোডিয়ায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রচলন ঘটে। ফলে ১৪শ বা ১৫শ শতাব্দীতে অ্যাংকর ভাট বৌদ্ধ মন্দিরে পরিণত হয়, যা আজ পর্যন্ত বজায় আছে। অ্যাংকরের অন্যান্য মন্দিরের সাথে এর আরেকটি পার্থক্য হল - যদিও ১৬শ শতাব্দীর পরে এটি কিছুটা অবহেলিত হয়, তথাপি অন্যান্য মন্দিরের মতো এটি কখনোই পরিত্যক্ত হয় নাই। চারদিকে পরিখা থাকায় বন জঙ্গলের গ্রাস থেকে মন্দিরটি রক্ষা পায়।  এসময় মন্দিরটি সূর্যবর্মণের মরণোত্তর উপাধি অনুসারে প্রিয়াহ পিস্নুলোক নামে পরিচিত ছিল। আধুনিক নামটি, অর্থাঅ্যাংকর ভাট নামটির ব্যবহার ১৬শ শতাব্দী হতে শুরু হয়। এই নামটির অর্থ হল নগর মন্দির অ্যাংকর শব্দটি এসেছে নকর শব্দ হতে, যা আসলে সংস্কৃত শব্দ নগর এর অপভ্রংশ। আর ভাট হল খ্মের ভাষা শব্দ যার অর্থ মন্দির
পশ্চিমা পরিব্রাজকদের মধ্যে এই মন্দিরে প্রথম আগমন ঘটে পর্তুগিজ ধর্মপ্রচারক আন্তোনিও দা মাগদালেনার। তিনি ১৫৮৬ সালে প্রথম এই মন্দির এলাকা ভ্রমণ করেন। তিনি লিখেছেন, এটি (মন্দিরটি) এমন অসাধারণ ভাবে নির্মিত যে, ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। সারা বিশ্বে এরকম আর কোন ভবন বা স্থাপনার অস্তিত্ব নাই। এখানে রয়েছে খিলান অন্যান্য কারুকার্য, মানুষের পক্ষে সম্ভাব্য সেরা সৃষ্টি। তবে পাশ্চাত্যে এই মন্দিরের কথা ছড়িয়ে পড়ে উনবিংশ শতাব্দীতে ফরাসি অভিযাত্রী অনরি মৌহত এর ভ্রমণকাহিনীর মাধ্যমে। তিনি লিখেছিলেন,
এই মন্দিরগুলির মধ্যে একটি (অ্যাংকর ভাট), সলোমনের মন্দিরকেও হার মানায়। মাইকেলেঞ্জেলো মতোই কোন প্রাচীন শিল্পী এটি নির্মান করেছেন। আমাদের সবচেয়ে সুন্দর ভবন সমূহের সাথে এটি সমতূল্য। এটি এমনকী প্রাচীন গ্রিস বা প্রাচীন রোমের স্থাপনা গুলির চাইতেও অনেক বেশি রাজকীয়, সুন্দর। বর্তমানে এই দেশটি (কম্বোডিয়া এলাকা) যে বর্বরতার মধ্যে নিমজ্জিত হয়েছে, তার সাথে এই মন্দিরের বিশালতার সৌন্দর্যের এক বিশাল ফারাক রয়েছে
অন্যান্য পাশ্চাত্যের পরিব্রাজকদের মত মৌহতও বিশ্বাস করতে পারেন নাই যে, খ্মেররাই এই মন্দির নির্মাণ করেছিল। তিনি ভুলক্রমে ধারণা করেন, মন্দিরটি রোম সাম্রাজ্যের সমসাময়িক। অ্যাংকর ভাটের প্রকৃত ইতিহাস উদঘাটিত হয় এখানকার স্থাপত্যশৈলী শিলালিপি হতে, যা মন্দিরের সমস্ত এলাকা পরিষ্কার করার পরে প্রকাশ পায়
বিংশ শতাব্দীতে অ্যাংকর ভাটের ব্যাপক সংস্কার সম্পন্ন হয়। সময় প্রধানত এর চারিদিকে গ্রাস করে নেয়া মাটি জঙ্গল সাফ করা হয় গৃহযুদ্ধ খ্মের রুজ শাসনামলে ১৯৭০ ১৯৮০ এর দশকগুলিতে সংস্কার কার্য বাধাগ্রস্ত হয়। তবে অ্যাংকর ভাট এলাকায় পরে স্থাপিত মূর্তিগুলি চুরি যাওয়া ধ্বংস করে ফেলা ছাড়া মূল মন্দিরের খুব একটা ক্ষতি এসময় হয় নাই।
বর্তমানে অ্যাংকর ভাটের মন্দিরটি কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এটি দেশবাসীর গৌরব। ১৮৬৩ সালে প্রথম প্রবর্তনের পর থেকে কম্বোডিয়ার সব পতাকাতেই অ্যাংকর ভাটের প্রতিকৃতি স্থান পেয়েছে। সারা বিশ্বে এটিই একমাত্র ভবন যা কোন দেশের পতাকায় প্রদর্শিত হয়েছে
অ্যাংকর ভাটে মন্দিরটি খ্মের স্থাপত্যের প্রকৃষ্ট নিদর্শন। পরবর্তীতে এধরণের স্থাপত্য কলাকে অ্যাংকর ভাট রীতি নাম দেয়া হয়। ১২শ শতক নাগাদ খ্মের স্থপতিরা ইটের বদলে স্যান্ডস্টোন (বা পাথর) ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করেন। অ্যাংকর ভাটের রীতির পরে শুরু হয় বায়ুন পর্ব, যখন সৌন্দর্যের চাইতে বিশাল আকারের স্থাপনা গড়াকেই প্রাধান্য দেয়া হয়।  এই সময়ের অন্যান্য মন্দিরের মধ্যে রয়েছে বান্তাই সাম্রে, থোম্মানন, চাও সে তাভোদা এবং অ্যাংকর এর প্রিয়া পিথু আদি মন্দির গুলি। অ্যাংকরের বাইরে বেং মিয়ালিয়া, এবং ফানম রুং ফিমাই এর মন্দির গুলি এই ধাঁচ অনুসরণ করেছে
অ্যাংকর ভাটের মন্দিরটি এর স্থাপত্যকলার সৌন্দর্যের জন্য প্রশংসিত। এর সাথে প্রাচীন গ্রিস বা প্রাচীন রোমের স্থাপত্য কলার তুলনা করা হয়েছে। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে অ্যাংকরের সংরক্ষণকারী মরিস গ্লেইজের মতে, "It attains a classic perfection by the restrained monumentality of its finely balanced elements and the precise arrangement of its proportions. It is a work of power, unity and style."
অ্যাংকর ভাট মন্দিরের অবস্থান হল ১৩°২৪৪৯উত্তর, ১০৩°৫২পূর্ব এটি কম্বোডীয় স্থাপত্য, কম্বোডীয় রাজকীয় মন্দিরের প্রথাগত গড়ন, এবং এককেন্দ্রীক গ্যালারি রীতির সংমিশ্রন। এটি হিন্দু পুরাণে বর্ণিত দেবতাদের আবাস মেরু পর্বতের আদলে গড়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ৫টি টাওয়ার মেরু পর্বতের ৫টি পর্বত শৃঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করছে। দেয়াল পরিখা হল পর্বতমালা মহাসাগরের প্রতীক।মন্দিরের উচ্চতর অংশগুলিতে প্রবেশ ক্রমশ দুরুহ হয়েছে। সাধারণ জনতাকে কেবল মন্দিরের নীচের অংশেই প্রবেশ করতে দেয়া হত।
অন্যান্য খ্মের মন্দির যেখানে পূর্ব দিকে মুখ করে নির্মিত হয়েছে, সেখানে অ্যাংকর ভাটের মন্দিরটি একটি ব্যতিক্রম। এটি পশ্চিম দিকে মুখ করে নির্মিত। অনেকের মতে (মরিস গ্লেইজ জর্জ কোয়েদেস সহ) এর কারণ হল, এটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। এর আরো প্রমাণ হল, এর দেয়ালের কারুকার্য, যেখানে নকশাগুলি ঘড়ির কাঁটার উল্টা দিকে করে বসানো আছে। হিন্দু অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে এভাবে উল্টা ক্রমে কাজ করা হয়। পুরাতত্ত্ববিদ চার্লস হিগাম এখানকার কেন্দ্রীয় টাওয়ারে একটি কলসী জাতীয় বস্তু পেয়েছেন, যা সম্ভবত অন্তেষ্টিক্রিয়ার সময় চিতাভষ্ম রাখার জন্য ব্যবহার করা হত। তবে ফ্রিম্যান জাঁকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী অ্যাংকরের আরো কিছু মন্দির এরকম পশ্চিম মুখী করে বানানো, তাঁদের মতে অ্যাংকর ভাটের পশ্চিমমুখিতার কারণ হল এটি বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে নিবেদিত মন্দির। উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, বিষ্ণু দেবতা পশ্চিম দিকের সাথে জড়িত
এলেনর মান্নিক্কা মন্দিরটির সম্পর্কে আরেকটি ধারণা প্রদান করেছেন। মন্দিরের অবস্থান আকৃতির ভিত্তিতে এবং চিত্রাবলীর বিষয় বিন্যাসের কারণে তাঁর ধারণা, এটি রাজা ২য় সুর্যবর্মণের শাসনামলের দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পরিচায়ক এই ধারণাটি অবশ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে সর্বাঙ্গীনভাবে গৃহীত হয় নাই।  গ্রাহাম হ্যানককের মতে অ্যাংকর ভাট হলো দ্রাকো নক্ষত্রপুঞ্জের প্রতীক।
বাইরের দেয়ালটি দৈর্ঘ্যে ১০২৫ মিটার, প্রস্থে ৮০২ মিটার, এবং উচ্চতায় . মিটার। এর চার দিকে ৩০ মিটার দূরত্বে ১৯০ মিটার চওড়া একটি পরিখা আছে। মন্দিরে প্রবেশ করার জন্য পূর্ব দিকে একটি মাটির পাড় এবং পশ্চিম দিকে একটি স্যান্ডস্টোনের পুল রয়েছে। এই পুলটি মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বার, এবং মন্দির নির্মাণের অনেক পরে যোগ করা হয়েছে। ধারণা করা হয় যে, এর স্থানে পূর্বে একটি কাঠের পুল ছিলো।  বাইরের দেয়ালটি দৈর্ঘ্যে ১০২৫ মিটার, প্রস্থে ৮০২ মিটার, এবং উচ্চতায় . মিটার। এর চার দিকে ৩০ মিটার দূরত্বে ১৯০ মিটার চওড়া একটি পরিখা আছে। মন্দিরে প্রবেশ করার জন্য পূর্ব দিকে একটি মাটির পাড় এবং পশ্চিম দিকে একটি স্যান্ডস্টোনের পুল রয়েছে। এই পুলটি মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বার, এবং মন্দির নির্মাণের অনেক পরে যোগ করা হয়েছে। ধারণা করা হয় যে, এর স্থানে পূর্বে একটি কাঠের পুল ছিলো।

১৯৯০
এর দশক হতে অ্যাংকর ভাটের রক্ষণাবেক্ষণ সংস্কার কার্যক্রম আবার শুরু হয়। এর সাথে সাথে শুরু হয় পর্যটনশিল্প। ভারতের পুরাতাত্তিক সংস্থা ১৯৮৬ হতে ১৯৯২ সালের মধ্যে মন্দিরটিতে সংস্কারের কাজ করে।  মন্দিরটি অ্যাংকরের বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসাবে ইউনেস্কো কর্তৃক ১৯৯২ সালে স্বীকৃত হয়। এতে করে মন্দিরের সংস্কারের জন্য অর্থায়ন কম্বোডিয়া সরকারের দ্বারা মন্দিরের সুরক্ষার কার্যক্রম সহজতর হয়েছে।  জার্মানির অপ্সরা সংরক্ষণ প্রকল্প এই মন্দিরের অপ্সরা দেবতাদের ছবি সম্বলিত কারুকার্যমন্ডিত দেয়ালের নকশাকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করছে। সংস্থাটির সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, প্রাকৃতিকভাবেই পাথর ক্ষয়ে যাওয়ায় দেবতামূর্তিগুলির ২০ শতাংশেরই খুব করুণ দশা। তার উপরে শুরুর দিকের সংরক্ষণকারীদের অনভিজ্ঞতার ফলেও অনেক ক্ষতি হয়েছে সংস্কার কার্যের অন্যান্য দিকের মধ্যে রয়েছে ধ্বসে যাওয়া অংশ মেরামত। যেমন, উপরের স্তরের পশ্চিম দিকের ২০০২ সাল থেকেই খুঁটি দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে জাপানি বিশেষজ্ঞ্ররা ২০০৫ সালে উত্তর দিকের পাঠাগার মেরামত করেছেন।
২০০৪ সালে কম্বোডিয়াতে মোট পর্যটকের সংখ্যা ছিল ১০ লাখের বেশি, যার অন্তত ৫৭% অ্যাংকর ভাটে যাবার পরিকল্পনা করেছিলেন।. পর্যটকদের আনাগোনার ফলে অল্প কিছু দেয়াল লিখন ছাড়া মন্দির এলাকার খুব ক্ষতি হয় নাই। মন্দিরের কারুকার্যকে রক্ষা করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পর্যটনশিল্পে লদ্ধ আয়ের ২৮% মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহার করা হয়।



Source:
1.  Wikipedia
2. Daily Prothom Alo

No comments:

Post a Comment