Make our mind vaster than space

Make our mind vaster than space
Milky Way Galaxy

Thursday, October 6, 2011

শুভ বিজয়া




আজ বিজয়া দশমী
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন আজগজে চড়ে যে দেবীর আগমন ঘটেছিল মর্ত্যে, আজ তিনি বিদায় নেবেন দোলায়দুর্গতিনাশিনী হিসেবে সম্মানীয়া এই দেবী বাংলার সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে দুর্গাপরম পূজনীয় তিনিতিনিই আদ্যাশক্তি, মহামায়া, শিবানী, ভবানী, দশভুজা ও সিংহবাহনামানবের কল্যাণে এবং অশুভর ওপর শুভর বিজয়কে তিনি নিশ্চিত করেনঅশুভ শক্তির প্রতীক অসুরদের দলপতি মহিষাসুরকে বধ করে দেবী দুর্গা দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেনএর মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হয়েছিল অন্যায় ও অশুভ শক্তির পরাজয়, ন্যায় ও শুভশক্তির জয়তিনি মানুষকে মহৎ হতে প্রাণিত করেনমানুষের মনের দৈন্য ও কলুষ দূর করেনতাই শুভ ও অশুভর মধ্যকার দ্বন্দ্বে শুভশক্তির বিজয়ের তাৎপর্য একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি সর্বজনীন
পুরাণে আছে, রামচন্দ্র রাবণ বধ করার জন্য অকালে শরৎকালে দেবীর পূজা করেছিলেনআমাদের বাংলাদেশে এ পূজার প্রচলন হয় হাজার বছরেরও আগে

এই
লেখাটি ২০০৯ এর বিজয়া দশমীর দিন দৈনিক প্রথম আলোতে ছাপানো হয়েছিল।
কর্মযোগী স্বামী অক্ষরানন্দ ১৮ এপ্রিল সোমবার বেলা ১টা ৫৭ মিনিটে ঢাকা অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেনতাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর
বৃহত্তর খুলনা জেলার (বর্তমানে সাতক্ষীরা) অন্তর্গত খুরদা গ্রামে ১৯২৯ সালে স্বামী অক্ষরানন্দজী মহারাজ জন্মগ্রহণ করেনরামকৃষ্ণ সংঘের ষষ্ঠ সংঘগুরু শ্রীমত্ স্বামী বিরজানন্দজী মহারাজের কাছ থেকে মন্ত্রদীক্ষা লাভ করার পর তিনি ১৯৫০ সালে তত্কালীন রামকৃষ্ণ সংঘের কলকাতার পাথুরিয়াঘাটা আশ্রমে যোগদান করেনএই আশ্রম পরে কলকাতার দক্ষিণ শহরতলিতে নরেন্দ্রপুরে স্থানান্তরিত হয়১৯৫৯ সালে তিনি শ্রীমত্ স্বামী শঙ্করানন্দজী মহারাজের কাছে সন্ন্যাস লাভ করেননরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম কমপ্লেক্স স্থাপন উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তিনিএই আশ্রম কমপ্লেক্স আজ বিশেষ করে শিক্ষাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সহ-সম্পাদক থাকাকালে অক্ষরানন্দজী ১৯৭২ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসেনতিনি এসেছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে রামকৃষ্ণ মিশনের ত্রাণ পুনর্বাসন কাজের তদারকি এবং সমন্বয় সাধনের জন্যসে সময় তিনি বাংলাদেশে কয়েক মাস অবস্থান করেনপরে ১৯৭৪ সালে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি স্থায়ীভাবে এদেশে চলে আসেনমৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৭ বছর তিনি অক্লান্তভাবে আর্তমানবতার সেবা করে গেছেন, মানুষকে আধ্যাত্মিকতার আলোকিত পথ দেখিয়েছেন, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন মানুষের ঘরে ঘরেতিনি রামকৃষ্ণ সারদা বিবেকানন্দের আদর্শ প্রচারের জন্য বাংলাদেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত ছুটে বেরিয়েছেনতাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে রামকৃষ্ণ মিশনের পুরনো কেন্দ্রগুলোতে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটেছেনতুন নতুন আশ্রম স্থাপিত হয়েছেতিনি মন্ত্রদীক্ষা দিয়েছেন প্রায় ৫৫ হাজার রামকৃষ্ণ অনুরাগী ভক্তকে
(
সূত্রঃ তা রা চা র্য্য ,সাধারণ সম্পাদক, সাধু নাগ মহাশয় আশ্রম, দেওভোগ, নারায়ণগঞ্জ)
 
তার প্রতি প্রণাম জানিয়ে লেখাটি শেয়ার করছি।


দুর্গাপূজায় এক আধ্যাত্মিক ভাব নিহিতদেবীর পূজায় লাভ হয় ভুক্তি ও মুক্তি উভয়ইপার্থিব সুখ-সমৃদ্ধির মধ্যে মানুষ খোঁজে ভুক্তি বা ভোগের বস্তুআর পারমার্থিক চেতনার মধ্যে মানুষ পায় সত্যিকারের শান্তি ও মুক্তিজীব সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই তিন গুণের অধীনসত্ত্বজ্ঞানাত্মক বা প্রকাশস্বরূপ, রজঃরাগাত্মক বা আসক্তি ও বিদ্বেষমূলক, তমঃমোহ উত্পাদকসত্ত্বগুণময়ী দেবী স্বয়ং নিয়ন্ত্রণ করছেন রজোগুণের প্রতীক রাগ-দ্বেষযুক্ত মনরূপ সিংহকেসিংহ শাসন করছে তমোগুণরূপী অসুরকেএই গুণময়ী দেবীই স্বরূপত ব্রহ্মচৈতন্যময়ী মহাশক্তিরূপে বিভাসিতাতিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুরই নিয়ন্ত্রী শক্তিএই হলো দেবীপূজার পারমার্থিক তত্ত্ব 
সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা অন্তরে সর্বদা একটা সংগ্রাম অনুভব করিএ সংগ্রাম শুভ ও অশুভেররজঃ ও তমঃ থেকে দম্ভ, দর্প, অভিমান, ক্রোধ প্রভৃতি অজ্ঞানবাচক গুণ উত্পন্নঅপরদিকে সত্ত্বগুণ থেকে উত্পন্ন তপস্যা, স্বাধ্যায়, দম, শৌচ, তিতিক্ষা, অহিংসা, সত্য, ত্যাগ, ক্ষমা, ধৃতি, দয়া ইত্যাদি জ্ঞানলাভের সহায়কমহাদেবী দুর্গার পূজায় আমাদের একমাত্র প্রার্থনা হবে আসুরিক ও পাশবিক বৃত্তিগুলোকে পরাভূত করে আমাদের অন্তরদেবতাকে জাগ্রত ও সংগ্রামমুখী করে তোলাদেবী দুর্গার পূজার এ এক তাত্পর্য
কোনো অস্ত্রশস্ত্র নেই, কী দিয়ে শত্রু নাশ করবএ প্রশ্ন আমাদেরকিন্তু মায়ের কৃপা হলে আমরা বিবেক, বৈরাগ্য এবং জ্ঞান-অসি দিয়ে সকল শত্রু নাশ করতে পারবআসলে মায়ের হাতের অস্ত্রগুলো জ্ঞান-অসির প্রতীকশুভবুদ্ধি ও জ্ঞানার্জনে পশুভাবের নাশ হয়সর্বশক্তিরূপিণী ও সর্ববীর্যের উত্সরূপা জগজ্জননী দুর্গার আরাধনায় সব মালিন্য থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর কৃপায় আমাদের শুভবুদ্ধির দীপশিখাটি প্রজ্বলিত রাখতে পারলেই স্বার্থক হয় দেবী দুর্গার পূজা
দশমী তিথিকে বিজয়া দশমী বলেএ দিন দেবী সপরিবারে ফিরে যাবেন কৈলাসেমাকে প্রদক্ষিণ করা সন্তানের স্বাভাবিক রীতিমা আমাদের ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন নাএই আমাদের আকাঙ্ক্ষাপ্রদক্ষিণ করে ভক্তরা স্তব করতে থাকে, ‘দুর্গতিনাশিনী দুর্গা, তুমি শিবা অর্থাত্ মঙ্গলকারিণীতুমি বিশ্বের ঈশ্বরী, সর্বদেবময়ীতুমি সকল ভয় ও রোগ হরণকারিণীতুমি ঔষধীরূপে সকল রোগ নাশ করে থাকতুমি যোগমায়া, তুমি দুঃখময় সংসারসমুদ্র পার করে দাওআয়ু, আরোগ্য, বিজয় দাওতোমাকে নমস্কারভূত, প্রেত, পিশাচ, রাক্ষস, দেবতা, মানুষসকলের ভয় থেকে সর্বদা আমাদের রক্ষা করতোমার নাম ভগবতী, তুমি ভয় দূর করতোমার নাম কাত্যায়নী, তুমি বাসনা পূরণ করতুমি পুত্রকামীকে পুত্র দান করে থাকউগ্র তোমার রূপ, তুমি সর্বত্র জয় দান করতুমি বিজয়া 
দুর্গোত্তারিণী দুর্গে ত্বং সর্বাশুভবিনাশিনীধর্মার্থকামমোক্ষায় নিত্যং মে বরদা ভব।...তুমি সকল অশুভবিনাশকারিণী, ধর্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষের বরদানকারিণীমহিষাসুর আজ তোমার হাতে নিহততুমি আমাদের প্রতি প্রসন্না হওআমাদের পাপ হরণ কর, ক্লেশ হরণ কর, অশুভ হরণ কর, রোগ হরণ কর, ক্ষোভ দূর করতুমি যাঁর মাথায় তোমার কল্যাণহাত রাখ, সে প্রভুত্ব লাভ করেশক্তিহীন, গুণহীন, সত্যাচারবর্জিত মানুষ তোমার কৃপায় পৌরুষ লাভ করেক্ষুধা, পিপাসা, আর্তি তুমি নাশ করতোমাকে পূজা করে আমরা ধন্যআমরা কর্তব্য শেষ করেছি, সফল আমাদের জীবনহে দুর্গে, মহেশ্বরী, তুমি এসেছঅর্ঘ্য, পুষ্প, নৈবেদ্য, মালা গ্রহণ করে আমাদের কল্যাণ করোআয়ু, যশ, ভাগ্য, ভক্তি, জ্ঞান, সকল আমাদের হোকতোমার কৃপায় আমাদের বার্ষিক পূজা সাঙ্গ হোকমন্ত্রহীন, ক্রিয়াহীন, ভক্তিহীন আমরা, তোমার কৃপায় সব পূর্ণ হোকতোমার আবাহন জানি না, বিসর্জন জানি না, পূজার ভাবও জানি না, তুমিই আমাদের গতি 
হে জননী, পুত্র-আয়ু-ধন বৃদ্ধির জন্য তোমার পূজা হলোআজ দশমীতে পূজাশেষে যেখানে নিরাকার পরমব্রহ্ম আছেন সেখানে তুমি যাওআমাদের সুখ দান করার জন্য আবার এসো, শত্রুর দর্প বিনাশ করার জন্য পুনরায় আগমন কোরোআমাদের পূজায় সন্তুষ্ট হয়ে তুমি নিজের স্থানে যাওএক বছর গেলে তুমি আবার এসোজয়ন্তী বৃক্ষে তোমার পূজা হলো, তুমি সর্বত্র আমাদের জয়ী করোতুমি সংসার-বন্ধনমুক্তির জন্য কৃপা করোঅশোক বৃক্ষে তুমি ছিলেতুমি আমাদের শোকরহিত করোমানবৃক্ষে তোমার পূজা হলো, তুমি আমাদের সর্বত্র মান ও সুখ দাওধানরূপে তোমার পূজা হলো, তুমি লোকের প্রাণ ধারণ কর, আমাদের প্রাণে শান্তি দিয়ে প্রাণ ধারণ করাওহে পরমেশ্বরী, আমরা তোমার দাসজ্ঞানভক্তি বৃদ্ধির জন্য তোমাকে জলে স্থাপন করা হলো
দশমীতে তাই বিসর্জনপ্রতিমা থেকে ঘটে, এবং ঘট থেকে ভক্তের হূদয়েভক্তের হূদয়ে অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি তাদের অসুরের আক্রমণ থেকে রক্ষা করবেনমাকে হূদয়ে অনুভব করে আনন্দে ভক্তরা পরস্পর কোলাকুলি করেপরস্পর আপন বোধ করেএত দিন অন্তরে হিংসা, গর্ব, নিন্দা, ক্রোধ নামক অসুর থাকায় সকলকে আপন বোধ করতে পারেনিএবার সেসব অসুর ধ্বংস হলো মায়ের কৃপায়সমস্ত ভেদ উঠে গেলশ্রীরামকৃষ্ণ যেমন বলতেন, ‘ভক্তিতে সব জাতিভেদ উঠে যায়ভক্তের কোনো জাত নেইতাই সকলেই আমরা আপনবিজয় হলো আসুরিক শক্তির ওপর দৈব শক্তিরমা দুর্গার নামও তাই বিজয়া 
বিসর্জন ও বিজয়ার তাত্পর্য বুঝে ভক্তের মনের শোক কেটে যায়মায়ের পূজার বিসর্জনমন্ত্রেও বলা হয়, ‘ওঁ গচ্ছ দেবি পরং স্থানং যত্র দেব নিরঞ্জনঃঅস্মাকং তু সুখং দত্তা পুনরেস্যসি সর্বদাতুমি নিরাকার স্বরূপে ফিরে যাওসব সময় তুমি অবশ্য আসবে আমাদের আনন্দ দিতেকাম, ক্রোধ, লোভ নামক শত্রুর দ্বারা সব সময়ই মানুষ আক্রান্তভক্তের প্রার্থনা তাই মায়ের পুনরাগমনেরওঁ গচ্ছ ত্বং ভগবত্যম্ব স্বস্থানং পরমেশ্বরীশত্রোদর্পবিনাশায় পুনরাগমনায় চঃভক্ত অনুনয় করে ভালোভাবে শোনার জন্য, মনে করে রাখার জন্য 
মায়ের নিজ স্থান ভক্তের হূদয়মন্দিরেভক্ত নিজ হূদয়েই মাকে ফিরে যেতে অনুরোধ জানায়তিষ্ঠ তিষ্ঠ পরে স্থানে স্বস্থানে পরমেশ্বরীযত্র ব্রহ্মাদয় সর্বে সুরাস্তিষ্ঠন্তি মে হূদি \’ অর্থাত্, হে মা, তুমি আমার হূদয়েই থাকো, যেখানে ব্রহ্মা এবং সব দেবতা বিরাজ করেনশ্রীরামকৃষ্ণের উদাহরণে এ ভাবটি আরও স্পষ্টদক্ষিণেশ্বরের জমিদার মথুরবাবুবিজয়া দশমীর দিন কিছুতেই মাকে বিসর্জন দিতে দেবেন নাকারণ তিনি মাকে ছেড়ে থাকতে পারবেন না, নিত্য পূজা করবেনমায়ের কৃপায় তাঁর ধনের অভাব নেইকিন্তু বিজয়া দশমীর নিয়ম তো বিসর্জন দেওয়াকেউ তাঁকে বোঝাতে পারছে নাশেষে শ্রীরামকৃষ্ণ হূদয়ের অনুভূতিতে বোঝালেন, ‘তুমি মাকে ছেড়ে থাকবে, কে বললে? মা কি সন্তানকে ছেড়ে কখনও থাকতে পারে? এ কদিন বাইরের দালানে বসে মা পূজা নিয়েছেন, আজ থেকে মা হূদয়মন্দিরে বসে পূজা নেবেনমথুরবাবু বুঝতে পারলেন বিসর্জনের তাত্পর্য 
বিজয়ায় বিসর্জন মাকে ত্যাগ নয়, বিশেষরূপে অর্জনএই কদিনের পূজাশেষে যে জ্ঞান অর্জিত হলো, তা হচ্ছে, মা স্বস্থানে কৈলাসে ফিরে গেলেনএ অবস্থায় মা নিরাকারাচর্মচক্ষের বাইরে চলে গেলেননিরাকারা চ সাকারা সৈব...’ (প্রাধানিক রহস্য-২৯, চণ্ডী)
আবার মা সন্তান তথা আমাদের কল্যাণে আবারও আসবেন বছরান্তে রূপাধারেএভাবে মা ভক্তের হূদয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অবস্থান করবেনএ প্রতিষ্ঠাই আমাদের জ্ঞানার্জনবিসর্জন অর্থে আত্মপ্রতিষ্ঠবিজয়ার উদ্দেশ্যই হচ্ছে জ্ঞান অর্জন দেবী দুর্গাকে কেন্দ্র করেএ শুভদিনে ধনী-দরিদ্র, রাজা-প্রজা, পণ্ডিত-মূর্খ, উঁচু-নিচু বিচার না করেই সকলে একাত্মবোধে আবদ্ধসকল ক্ষুদ্রতা ও পাশবিক বৃত্তির অবসান ঘটিয়ে আজ ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সহাবস্থানের ভাবনা জাগ্রত হয়ে মানবকল্যাণে সকলে ব্রতীদুর্গাপূজার বিজয়ার তাত্পর্য এটাইবিজয়ার শুভ এই দিনে দুঃখ নয়, বেদনা নয়, সকলে আনন্দে মুখরিত এবং সকলের মধ্যে প্রেমের বন্ধনে আকৃষ্টএই দিনে পাড়া-পড়শি সকলকে নিয়ে প্রেমালিঙ্গন একটি বিশেষ দিগ্দর্শনতাই ভক্ত আকুতিতে প্রার্থনা জানায়
ওঁ দেবি ত্বং জগতাং মাতঃ স্বস্থানং গচ্ছ পূজিতে 
সংবত্সর ব্যতিতে তু পুনরাগমনায় চঃ \’
অর্থাত্, হে দেবী, জগজ্জননী, পূজিতা হয়ে তুমি নিজ স্থানে গমন কর এবং এক বছর পরে আবার তুমি অবশ্য আসবে

No comments:

Post a Comment