উগান্ডাকে বলা হয়ে থাকে পার্ল অব আফ্রিকা । উগান্ডার পূর্বে আছে কেনিয়া, উত্তরে দক্ষিণ সুদান, পচ্চিমে গণতান্ত্রিক কঙ্গো,দক্ষিণ পূর্বে রুয়ান্ডা এবং দক্ষিণে তানজানিয়া।
নীল নদের উৎসের দেশ হিসেবেও এর একটি পরিচয় আছে। তবে এই দেশটির পরিচিতি পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিতে যে ব্যক্তি অপরিসীম ভূমিকা রাখেন তিনি জলপাই রঙের শাসক ইদি আমিন। তার শাসনামলে প্রায় ৩ লাখ লোক প্রাণ হারায়। কারো কারো মতে এই সংখ্যা ৫ লাখের মত। তার স্বৈর-শাসনের ইতিহাস আজো অত্র অঞ্চলের মানুষের মনে দগদগে ক্ষত হয়ে বিরাজমান।
এই কুখ্যাত নেতার ৮ বছরের শাসনামলের পতন ঘটে এক যুদ্ধের মাধ্যমে। সেই যুদ্ধটি হয় পার্শ্ববর্তী তানজানিয়ার সাথে। সেই যুদ্ধে উগান্ডা পরাজিত হয় শোচনীয়ভাবে। এবং ইদি আমিনের পতন ঘটে। এই যুদ্ধকে উগান্ডার স্বাধীনতা যুদ্ধও বলা হয়।
১৯৭৮-৭৯ সালের এই যুদ্ধে ইদি আমিনকে সহায়তা করেছিলেন লিবিয়ার একনায়ক মুয়ারমার আল গাদ্দাফি এবং পিএলও।পূর্ব কথাঃ
১৯৭১ এ সামরিক অভুথানের মধ্য দিয়ে ইদি আমিন উগান্ডার ক্ষমতা দখল করেন। তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস নায়ারে উগান্ডার ক্ষমতাচুত প্রেসিডেন্ট মিলতন অবতেকে আশ্রয় দেন ২০ হাজার উদ্বাস্তুসহ। এক বছর পর তারা উগান্ডাকে আক্রমণের বৃথা চেষ্টা করেন। আমিন নায়ারেকে দোষারোপ করেন তার শত্রুকে সমর্থনের জন্য। দুই দেশের ভিতর সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।যুদ্ধঃ
নায়ারে তানযানিয়ার পিপলস ডিফেন্স ফোরসকে উগান্ডার আর্মির বিরুদ্ধে মোতায়েন করেন। কয়েক সপ্তাহের ভিতর ৪০০০০ নিয়মিত সৈনিকের সাথে ৬০০০০ পুলিশ,মিলিসিয়া,কারারক্ষী যোগ দেন। উগান্ডার আমিন বিরোধিরা উগান্ডান ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি গঠন করে নায়ারের সাথে যোগ দেন। রাসসিয়ান রাশিয়ান বিএম কাতুস্কা দিয়ে তানযানিয়ানরা উগান্ডার সেনাদের উপর গোলা বর্ষণ করে। উগান্ডা সেনাবাহিনী পিছিয়ে যায়। লিবিয়ার মুয়ারমার আল গাদ্দাফি ২৫০০ সৈন্য, টি ৫৪, টি ৫৫ ট্যাংক, মিগ ২১, টু ২২ বিমান ও গোলা বারুদ দিয়ে সাহায্য করেন। কিন্তু লিবিয়ানরা খুব দ্রুত টের পায় তারাই সম্মুখ যুদ্ধ করছে এবং উগান্ডান সেনারা পরিবহন ট্রাক দিয়ে তানজানিয়া থেকে লুটের মাল উগান্ডাতে নিয়ে যাচ্ছে।তথ্যসূত্রঃ
১। ভ্রমণঃ পার্ল অব আফ্রিকা ( পর্ব ১)- বাণীব্রত রায়২। উইকিপিডিয়া ২৫/০৯/২০১১
No comments:
Post a Comment